
স্বাধীনতার ৫২ বছর: ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেট, নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে ফুটবল
রাশেদ অমিত , এখন টিভি
২৬ মার্চ ২০২৩, ১৪:৩৬
আজকের গুরুত্বপূর্ণ এখন মাঠে খবর
স্বাধীনতার ৫২ বছরে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেট। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের হালচাল পাল্টেছে অনেকটাই। তবে নিজেদেরকে হারিয়ে খুঁজছে ফুটবল।
স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশ অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সাফল্যের সম্মানজনক শিখরে আরোহণ করেছে। ৫০ বছরে যেখানে বাংলাদেশের জাতীয় আয় ৫০ গুণ এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২৫ গুণ, সেখানে ক্রীড়াক্ষেত্রে সফলতার গল্প বলতে গেলে হাতে গোনা কয়েকটি।
অর্থনীতিতে অনেক দেশকে পেছনে ফেললেও খেলাধুলায় এখনো পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে স্বাধীনতার ৫২ বছরে ক্রিকেট পৌঁছেছে নতুন উচ্চতায়। বিশ্বের পাঁচটি ধনী ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে অন্যতম বিসিবি। বোর্ডের এফডিআরে আছে হাজার কোটি টাকা।
বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন সমীহ করা দল। ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য টাইগাররা। স্বাধীনতার পর ভঙ্গুর অর্থনীতিতে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। ক্রিকেট জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ রকিবুল হাসান। তার কন্ঠেই শোনা যাক গল্পটা।
সাবেক ক্রিকেটার বীর মুক্তিযোদ্ধা রকিবুল হাসান বলেন, দেড় বছর ক্রিকেট হচ্ছে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও তৈরি হয় নাই। তখন আমরা ঠিক করলাম আন্দোলন করতে হবে, বঙ্গবন্ধুর কাছে যেতে হবে। আমরা লাল সালু কাপড়ের উপরে ব্যানার বানাইলাম, উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুর কাছে যাবো।
অর্থনৈতিক ভাবে ক্রিকেট বোর্ড ফুলেফেঁপে উঠলেও ক্রিকেট অবকাঠামো এখনো শক্ত হয়নি বাংলাদেশের। সেই আক্ষেপ স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এই খেলোয়াড়ের কন্ঠে।
তিনি বলেন, পয়সা যতই আসুক না আসুক খেলাতো অনেক বছর গড়িয়েছে। এতদূর যাওয়ার পরেও আমরা কি সেই যায়গায় আছি যে যায়গায় থাকা উচিত ছিলো এতবছরে। সেটা সাংগঠনিক দিক থেকে হোক আর অবকাঠামের দিক থেকেই হোক।
সাফল্য ধরা দিচ্ছে আর্চারি, গলফ, হকির মত খেলাতে। দেশের মাটিতে এখন আয়োজন হচ্ছে কোটি টাকার টুর্নামেন্ট। তবে কোথায় যেনো নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে ফুটবল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় অর্থ সংগ্রের জন্য যারা খেলেছে ফুটবল। তারাই এখন অর্থসংকটে। ৫০ বছরে তৈরি হয়নি কোন ফান্ড। গত দশ বছর যাবত নেইও কোন স্পন্সর। নির্দিষ্ট বেতন পায় না জাতীয় দলের ফুটবলাররা। কেনইবা এমন অবস্থা ফুটবলের?
সাবেক ফুটবলার শেখ আসলাম বলেন, এত বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর বাংলার ফুটবল একটা যায়গায় কেনো সমৃদ্ধ হবে না সেটাই আমাদের প্রশ্ন। ফুটবল ফেডারেশন একটা ফান্ড রাইস করতে পারলো না, এটা খুব ভাববার বিষয় এবং এই নেতৃত্বের উপর আঙুল তুলতে হয় যে ওনারা কি করছেন।
৫০ বছরে ছেলেদের ফুটবল যত পিছিয়েছে মেয়েদের ফুটবল এগিয়েছে তারা চেয়ে অনেকটাই। ২০০৩ সালের পর আন্তর্জাতিক ট্রফি পায়নি বাংলার ছেলেরা। পিছিয়েছে র্যাঙ্কিংয়েও।
সাবেক ফুটবলার শেখ আসলাম আরো বলেন, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বলেন আর যেখানে বলেন সব দিকেই কেমন যেন এতকটা ধ্বস নেমে গেছে আমাদের। বদর্তমানে যে ক্রিয়া সংগঠকের মাধ্যমে ফুটবল চলছে আমার মনে হয় যে ফুটবল মানুষ কিছুটা হলেও ভুলতে বসেছে। আমরা খুব হতাশাগ্রস্থ যে ফুটবলটা যাচ্ছে কোথায়।
এফএইচ