Ekhon TV :: এখন টিভি

১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে একযোগে শুরু হলো নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ। অংশ নিচ্ছেন মাধ্যমিকের ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক।

তবে, এ প্রশিক্ষণ পর্যাপ্ত নয় জানিয়ে আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ বছরজুড়েই থাকবে। 

পুরনো নিয়ম ভেঙে শিক্ষাকে আরও আনন্দদায়ক করতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের তিনটি শ্রেণিতে শুরু হচ্ছে নতুন সিলেবাসে পাঠদান। তবে, এ বিষয়ে শিক্ষকদের হালনাগাদ করতে ইতোমধ্যে মাধ্যমিকে শেষ হয়েছে দুই ধাপের অনলাইন প্রশিক্ষণ।

তবে, এবার শুরু হলো, সরাসরি প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণে যোগ দিতে সকালের শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে কেন্দ্রে উপস্থিত শিক্ষকরা।

শিক্ষকরা বলছেন, আজ মনে হচ্ছে আমরা কারিকুলাম শিক্ষা থেকে বের হয়ে ব্যবহারিক প্রক্রিয়ায় চলে এসেছি। কারণ এখানে ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদান পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

সারা দেশে একযোগে ৪০৮টি উপজেলা ও ২৫টি থানায় প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক। প্রত্যেক ভ্যানুতে সদ্য প্রশিক্ষণ পাওয়া ৩৩ জন করে রয়েছে জৈষ্ঠ প্রশিক্ষক। তারা মনে করেন, নতুন নিয়ম চ্যালেঞ্জিং হলেও ধীরে ধীরে এই কারিকুলামে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

তবে শুধু এই পাঁচ দিন নয়, শিক্ষকদের প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন শিক্ষকদের অনেকে।

শিক্ষকরা বলছেন, এই প্রশিক্ষণ ৫ দিনের জন্য যথেষ্ট নয়। এই ধরনের প্রশিক্ষণ কমপক্ষে ১৫ দিনের হওয়া উচিত।

কর্তৃপক্ষ মনে করে, ৫ দিনের প্রশিক্ষণ যথাযথ ভাবে গ্রহণ ও নতুন কারিকুলামের ওপরে তৈরি নির্দেশিকা অনুসরণ করলে সহজেই প্রস্তুত হওয়া যাবে পাঠ দানের জন্য। তবে প্রয়োজনে বছরজুড়ে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ চলবে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিলেই প্রশিক্ষিত হবে এমনটা নয়। এটি সঠিকভাবে অনুশীলন করা একটি বিষয়। এই ৫ দিনের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের ব্যবহারিক পাঠদান অনুশীলনের জন্য প্রস্তুত করবে।

প্রতিদিনের প্রশিক্ষণের জন্য সম্মানী পাবেন শিক্ষকরা। আর দূর থেকে প্রশিক্ষণ নিতে আসা শিক্ষকদের দেয়া হবে যাতায়াত ভাতা। বরাদ্দ রয়েছে প্রশিক্ষকদের জন্য। সব মিলিয়ে, প্রশিক্ষণে সরকারের ব্যায় হবে ১৯০ কোটি টাকা।

এসআই

Advertisement
Advertisement
Advertisement