
গ্যাস দেয়ার সময় পরিবর্তন হতে পারে সিএনজি স্টেশনে
রমজানে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ সত্ত্বেও লোডশেডিং থাকবে

রমজানে চাহিদা মেটাতে পিক আওয়ারে উৎপাদন করতে হবে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
২৩ মার্চ ২০২৩, ১৫:৪০
ইব্রাহিম পাঠান , এখন টিভি
আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ প্রতিবেদন খবর
এবারের রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক থাকলেও লোডশেডিং পুরোপুরি যাবে না। গ্রীষ্মের রমজানে বাড়তি চাহিদা যুক্ত হওয়ায় এবার পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে ১৬ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, বাড়তি উৎপাদনে পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তুতি আছে। সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহের সময় পরিবর্তন হতে পারে। তবে, উৎপাদন ঠিক রাখতে বিদ্যুৎ খাতের পরই অগ্রাধিকার পাবে শিল্পাঞ্চলগুলো।
চৈত্রের তাপে চরাপাশ না পুড়লেও দিনভর উত্তাপ ছড়াচ্ছে বেশ। শ্রমজীবির ঘাম ঝড়ছে এর মধ্যেই। এই গ্রীষ্মে যারা বাইরে আছেন তাদেরকে স্বস্তি দিচ্ছে মৌসুমের বাহারি ফল। কিন্তু দিনান্তে ঘরে গেলে দরকার আরাম দেয়া বিজলী বাতাস কিংবা পুরো কর্মঘন্টা জুড়ে শীতাতপের শীতল আবেশ। এর মধ্যেই শুরু হচ্ছে মুসলমানদের পবিত্রমতম মাস রমজান। তাই এখন প্রশ্ন সন্ধ্যায় ইফতারে, তারাবি নামাজে কিংবা শেষ রাতে সাহরিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক থাকবে কতটুকু।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, রমজানে পিক আওয়ারে আমাদের বিদ্যুৎতের চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে আমরা যদি ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট গ্যাস থেকে পাই, কয়লা থেকে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট পাই এবং ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার মেগাওয়াট যদি ফার্নেস অয়েল থেকে পাই তাহলে আমরা এই চাহিদা পূরনে সক্ষম হবো।
রমজান জুড়ে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস, কয়লা ও তেল সরবারাহে বিঘ্ন হবে না বলেও মনে করছেন বিদ্যুৎ খাতে সরকারের নীতি নির্ধারনী এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পেট্রোবাংলা, বিপিসি এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে আমরা কথা বলেছি, সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা, গ্রাহকদের জন্য যেটা একটা ভোগান্তি, সেটা কিন্তু এবার হবে না। গ্রাহকদের একটা স্বস্তির মধ্যে রাখতো পারবো।
সরকারের তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন-পেট্রোবাংলা বলছে, আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে এখন গ্যাসের দাম যথেষ্ট সহনীয়। তাই আগামী জুন পর্যন্ত ১২ কার্গো এলএনজি আমাদানির পরিকল্পনা আছে। এর মধ্যে কেনা হয়েছে ৪ জাহাজ।
শিল্প ও বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় দিনে ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা আছে সংস্থাটির। গ্যাসের যোগান বাড়ায় রমজানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর চাহিদার ৯০ শতাংশই পুরণ করা যাবে।
পেট্রোবাংলার অন্যতম বিতরণ প্রতিষ্ঠান তিতাসও বলছে, গ্যাস সরবরাহ ভাল থাকবে।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ বলেন, প্রধান গ্যাস আসে সিলেট থেকে। এছাড়া কিছু এলএনজি আসে চট্টগ্রাম থেকে। সোর্স পয়েন্টের কাছে যারা থাকে বা যে সকল ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে তারা আগে গ্যাস পায়। যেহেতু আমরা সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে অনেক দূরে তাই আমাদের কাছে পরে গ্যাস আসে।
তিনি আরো বলেন, যেটুকু গ্যাস আমরা পাই তা যেন সকল গ্রাহকের কাছে সমানভাবে পৌঁছাতে পারি সেই চেষ্টা আমরা করি। রমজানে যদি এরকমভাবে গ্যাস আসে তাহলে আমার গ্রাহকরা এখন যেভাবে পাচ্ছে সেভাবেই পাবে।
এফএইচ