
রমজান ঘিরে বাজারে বেড়েছে ছোলার সরবরাহ, চিনি নিয়ে দুশ্চিন্তা
হোসাইনি জিয়াদ , এখন টিভি
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৫০
পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে রমজানকে ঘিরে আমদানি করা ছোলাসহ অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ বাড়ছে। স্বল্প সময়ে ভারত থেকে আমদানি করা ছোলা বাজারে আসায় পাইকারিতে দাম কমেছে কেজিতে ৪-৫ টাকা। তবে দুশ্চিন্তা রয়েছে চিনির বাজারে। এজন্য সব পণ্য ভোক্তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ধাপে ধাপে কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
রমজান মাসে ইফতারিতে সবথেকে বেশি চাহিদা ছোলার। তাই এ মাসে চাহিদা বাড়ে পণ্যটির। রমজানে দেশে ছোলার চাহিদা প্রায় ৮০ হাজার টন। তবে চলতি বছর ডলার সংকটে ছোলার আমদানি কম। তাই রোজার মাস দুয়েক আগে থেকে বাড়তে থাকে পণ্যটির দাম। পাইকারিতে কেজিপ্রতি ৭৫ টাকার ছোলা দাম বেড়ে ঠেকে ৯০ টাকায়।
তবে চলতি সপ্তাহে ছোলার বাজারে স্বস্তির হাওয়া বইছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বা তানজানিয়ার থেকে বাংলাদেশ এ পণ্যটি আমদানি করতো। তবে সরবরাহ সুষ্ঠু রাখতে বিকল্প হিসেবেও প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে ছোলা আমদানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েকদিনে খাতুনগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে ভারতীয় ছোলার পর্যাপ্ত সরবরাহ এসেছে। সরবরাহ ঘাটতির কারণে দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আর নেই। বরং এক সপ্তাহে কেজিতে ৪-৫ টাকা কমেছে।
ছোলা আমদানিকারক জয়নাল আবেদীন বলেন, ভারত থেকে এখন বিভিন্ন দেশের পণ্য আসছে। এছাড়া এলসি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই আগে যে ছোলা বিক্রি হতো ৯৬ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৯১ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলসি সংকট কিছুটা কাটায় রমজানের আগে সরবরাহ আরো বাড়বে, এতে দামও কমবে। তবে ডলারের দাম বাড়তি থাকায় গেলো বারের চাইতে কিছুটা বেশি টাকা গুনতে হবে ভোক্তাদের।
খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, বাজারে ভারতীয় পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। বাজারে পণ্যের ঘাটতির কোনো কারণ নেই। ডলার সংকটের কারণে বাজারে পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি।
তবে কিছুটা আশংকা আছে চিনির বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়ছে প্রতিদিন। প্রতি টন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৬৬ ডলারে,যা গত মাসে ছিলো ৫২০-৫০ ডলার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কারখানা থেকে চিনির সরবরাহও স্বাভাবিক নেই।
চিনির ডিও বিক্রেতা মো আলমগীর পারভেজ বলেন, চিনি উৎপাদন অনুযায়ী সরবরাহ ঘাটতি রয়েছে। রমজানের আগে এই সরবরাহ ঠিক করা না গেলে রোজায় চিনির ঘাটতি দেখা দেবে।
তবে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, রমজানে দাম সহনীয় রাখতে আমদানি, মিল মালিক, পাইকার ও খুচরা সব পর্যায়ে সরকারের নজরদারি প্রয়োজন। এছাড়া ভোক্তারাও হুমড়ি খেয়ে না কিনে, ভাগে ভাগে কিনলে বাজারে চাপ কম পড়ে।
এসআই