
একই দশকে দ্বিতীয় মন্দার মুখে বিশ্ব
আমিনা লুসি , এখন টিভি
১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:২৩
একই দশকে দ্বিতীয় মন্দার মুখে বিশ্ব অর্থনীতি, যা গত ৮০ বছরেও এমন পরিস্থিতি ঘটেনি। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এমন সতর্কতা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে চলতি বছর বিশ্বের প্রবৃদ্ধি হবে ১.৭ শতাংশ। এর আগে ২০২০ সালে বিশ্বের প্রবৃদ্ধি হয়েছিলো মাত্র ৩.২ শতাংশ।
১০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মত মন্দার কবলে পড়তে চলেছে বিশ্ব অর্থনীতি। মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক জানায়, এ বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১.৭ শতাংশ। করোনার কারণে উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি খুব একটা এগোতে পারেনি। তার ওপর বেড়েছে সুদের হার। তবে বিশ্বব্যাংক আশা করছে, ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি ২.৭ শতাংশে ফিরে আসবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির অবনতি হওয়ায় এই সংকট তীব্র হচ্ছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আক্রমণাত্মক নীতি, অবনতিশীল আর্থিক অবস্থা এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সবকিছুই প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলছে।
এতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ছাড়াও কঠোর আর্থিক নীতি থেকে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মত নেতিবাচক প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, এসব কারণ মন্দা পরিস্থিতি তৈরির জন্য যথেষ্ট।
২০২০ সালের করোনা মহামারির মন্দার সময় বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি কমে ৩.২ শতাংশ। তবে পরের বছর অর্থনীতি আবার শক্ত হয়। সবশেষ বিশ্ব ১৯৩০ এর দশকে দুটি মন্দার মুখোমুখি হয়েছিলো ।
সংস্থাটি বলছে ২০২৩ সালে মার্কিন অর্থনীতি মাত্র ০.৫ শতাংশ বাড়বে। ইউক্রেনের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করে এমন ২০টি দেশে তেমন কোনো প্রবৃদ্ধি হবে না বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় ধারণা করা হচ্ছে ২০২৩ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি ৪.৩ শতাংশে পৌঁছাবে।
বিশ্বব্যাংক তার প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বের প্রধান প্রবৃদ্ধির তিনটি ইঞ্জিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরো অঞ্চল এবং চীন দুর্বল অর্থনীতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
আর এর সবই দরিদ্র দেশেও প্রভাব ফেলবে। এরই মধ্যে একটি অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিবেশ, নিম্ন ব্যবসায়িক বিনিয়োগ এবং ক্রমবর্ধমান সুদের হারের কবলে রয়েছে দরিদ্র দেশগুলো।
এসআই