
মিশরে বাড়ছে সুদের হার, লাগামহীন স্বর্ণের দাম
আমিনা লুসি , এখন টিভি
০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪৫
বৈশ্বিক মন্দার এ সময়ে মিশরে নজিরবিহীনভাবে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা দুর্বল হয়ে পড়ায় হিমশিম খাচ্ছে জনগণ। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতি।
ফেডারেশন অব ইজিপশিয়ান চেম্বার্স অব কমার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বরে দেশটিতে ২১-ক্যারেট স্বর্ণ প্রতি গ্রাম রেকর্ড ৭২ ডলারের বেশি মূল্যে বিক্রি হয়। যা গত বছরের ২৭ ডলারের তুলনায় অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গেও নেই কোনো সামঞ্জস্য।
ডলারের বিপরীতে অবস্থান ধরে রাখতে মিশর এ বছর দুইবার নিজেদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটায়। তারপরও দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি বেড়েই চলেছে। এর ওপর গত ফেব্রুয়ারিতে এলসি খুলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অতিরিক্ত শর্ত আরোপ করলে আমদানি কমে যায় এবং বন্দরে প্রচুর পণ্য আটকা পড়ে।
এ অবস্থায় অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী মিশরীয় পাউন্ডে স্বর্ণ কিনতে থাকেন, যাতে ডলারে বিদেশে রফতানি করতে পারেন। এর জেরে স্বর্ণের দাম বাড়ছে বলে জানান মিশরের চেম্বার্স অব কমার্সের স্বর্ণ বিভাগের প্রধান হানি মিলাদ।
ডলারের বিপরীতে মিশরের পাউন্ড দুর্বল হয়ে পড়ায় কাঁচা স্বর্ণ ও স্বর্ণমুদ্রা জমানোর দিকেও আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে। বড় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, অর্থের মূল্য কমায় তাদের শক্তি যোগাবে স্বর্ণ।
মিশরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মুরাদ আইয়াদ বলেন, ‘লোকেরা সঞ্চয় করতে স্বর্ণ কিনছেন, এতে স্বর্ণের বাজার অস্থির। গ্রাহকরা এখন জানেন, স্বর্ণের দাম অল্প সময়ের মধ্যে বাড়ে, তাই তারা মনে করেন তাদের অর্থের মূল্য বজায় থাকবে।’
মিশরের আরেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আমির রিজক আবদু বলেন, ‘স্বর্ণের বাজার এমন অস্থিতিশীল যা গত ২০ বছরেও ছিল না। ওঠানামা করার কারণে স্বর্ণের দাম স্থিতিশীল হতে পারছে না।’
কয়েক দশকের মধ্যে মিশরে মূল্যস্ফীতি এখন সর্বোচ্চ। কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে অর্থনৈতিক সংকট। মিশরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধাপে ধাপে সুদের হার বাড়াচ্ছে। এতে জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়ছে।
আকন