
হবিগঞ্জে শুঁটকির উৎপাদন কমেছে
কাজল সরকার , এখন টিভি
০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৪
হবিগঞ্জে শুঁটকির উৎপাদন প্রায় দুই থেকে তৃতীয়াংশ কমেছে। কয়েক বছর আগেও বোয়াল, শোল, গজার, বাইম, টেংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি তৈরি হতো এই অঞ্চলে। এখানে প্রতিবছর প্রায় ৫০০ টন শুঁটকির বাজার রয়েছে। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের শুঁটকির বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকার বেশি।
হাওর অঞ্চলের জেলা হওয়ায় মিঠা পানির মাছের শুঁটকির জন্য বিখ্যাত হবিগঞ্জ। এই জেলায় অধিকাংশ মানুষ মাছ চাষ করেন। তবে এখন মাছ সংকটে অনেকে শুঁটকি উৎপাদন বন্ধ করে দেয়ার চিন্তা করছেন।
শুঁটকি উৎপাদনকারীরা জানান, আমাদের জেলার হাওরগুলোর অবস্থা ভালো নেই। নদী-নালায় মাছ নেই। গত বছরও প্রচুর মাছ পাওয়া গেছে। এই ব্যবসায় আমরা অনেক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছি। আর এ ব্যবসায় থাকা সম্ভব নয়।
এক সময় দিঘলবাগ গ্রামের ৬০ শতাংশ পরিবার কম-বেশি শুঁটকি উৎপাদনের সাথে জড়িত ছিলো। চলতি বছর মাত্র ৩টি পরিবার সীমিত পরিসরে শুঁটকি উৎপাদন করছে। উপজেলার নোয়াগাঁও, বিরাট, কোদালিয়া, বদলপুরসহ শুঁটকি উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ গ্রামগুলোর একই অবস্থা।
তবে হাওরে মাছের সংকট, উৎপাদিত শুঁটকির দাম কম এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন মৎস্যজীবীরা।
মৎস্যজীবীরা জানান, বন্যার কারণে মাছের সংকটের কারণে শুটকি ব্যবসায় বেশ সমস্যা হচ্ছে। আগে মাছের সহজলভ্যতার কারণে অনেককে শুঁটকি উৎপাদনে কাজ করতে দেখা যেতো।
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এই জেলায় ৫ হাজার পরিবার এক সময় শুঁটকি উৎপাদনের সাথে জড়িত ছিলো। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ১০০ জনের নিচে। এক দশক আগে প্রতিবছর শুঁটকি উৎপাদন হতো ৫০০ মেট্রিকটন। এর বাজার মূল্য ছিলো ১০ কোটি টাকা।
তবে চলতি বছর শুঁটকি উৎপাদনের কোনো লক্ষমাত্রাই নির্ধারণ করেনি জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। এমনকি অন্য বছর গুণগত মানের শুঁটকি উৎপাদনে জেলেদের প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও এবার তা হয়নি।
হবিগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ বছর শুঁটকি উৎপাদনে কোনো লক্ষ্যমাত্রা পরিলক্ষিত হয়নি। তবে এ বছরই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এসআই