Ekhon TV :: এখন টিভি

শীতের তীব্রতা বাড়ায় জমে উঠেছে সৈয়দপুরের পুরনো কাপড়ের লন্ডা বাজার। প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ টাকার পুরনো কাপড় বিক্রি হয় এই বাজারে। বিদেশি এসব কাপড় স্বল্পমূল্যে কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত মিলছে চাহিদা অনুযায়ী পোশাক। তবে বিক্রেতাদের দাবি, কাপড়ের দাম বেড়েছে প্রায় দেড়গুণ।

রেললাইনের পাশে শীতের পুরনো কাপড়ের মার্কেট লন্ডা বাজার। দেশের বাইরে থেকে স্বল্প ব্যবহৃত এসব কাপড় আসে এই বাজারে। একেকটি চালানে থাকে সোয়েটার, জ্যাকেট, পুলওভার, মোজাসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক।

স্বাধীনতার পরপরই রেলওয়ে কারখানার গেটে শুরু হয় পুরনো কাপড় বিক্রি। দাম কম হওয়ায় দ্রুত জমে ওঠে এই ব্যবসা। সময়ের আবর্তনে কারখানা গেট থেকে চলে আসে দুই নম্বর রেলগেটের রেললাইনের দুই পাশে। নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তরা সবাই কম দামে উন্নতমানের পোশাক কিনতে এখানে ভিড় করেন।

ক্রেতারা জানান, এই বাজারে প্রচুর পরিমাণে গুণগত মানের শীতের কাপড় পাওয়া যায়, যা আমরা অনেক কম দামে পেয়ে থাকি। তবে এক চালানে অনেক কাপড় আসায় ভালো কাপড়টি খুঁজে নিতে হয়।

আগে শুধু রেললাইনের একপাশে কিছু দোকান থাকলেও প্রতি বছর লন্ডা বাজারের পরিসর বাড়ছে।

বিক্রেতারা জানান, দীর্ঘ শীতের কারণে কাপড়ের কেনাকাটা বেশ ভালোই চলছে। তবে কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। সোয়েটার, জ্যাকেট, পুলওভারসহ শিশুদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এখানে। যার দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। অন্যদিকে গত বছর যে কম্বল ৩০০ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।

শীত মৌসুমের বিশাল এই বাজারের ওপর নির্ভরশীল অন্তত এক হাজার পরিবার। পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখছে এই বাজার।

নীলফামারী চেম্বার অব কমার্সের সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, সৈয়দপুরে কাপড়ের ব্যবসায় বছরে কোটি কোটি টাকা আয় হয়। এছাড়া দেশের বাইরে থেকে যেসব পুরনো কাপড় আসে সেগুলো ভালো মানের। এখানে প্রায় ১০০০টি দোকান রয়েছে যার অর্থে প্রায় ৫০০০ পরিবার এই বাজার থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে।

রেললাইনের পাশে অস্থায়ী এই বাজারকে স্থায়ী রূপ দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে স্থানান্তর করা হলে অর্থনীতিতে আরও প্রভাব বাড়বে বলে বিশ্বাস করেন লন্ডা বাজারের ব্যবসায়ীরা।

এসআই

Advertisement
Advertisement
Advertisement

এই সপ্তাহের সর্বাধিক পঠিত গুরুত্বপূর্ণ বাজার খবর