Ekhon TV :: এখন টিভি

গ্রীষ্মকালীন ফলের দখলে কুমিল্লার নিমসার বাজার। জমজমাট ফল কেনা-বেচার কাজে ব্যস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। দৈনিক কয়েক কোটি টাকার তরমুজসহ এ পাইকারি বাজারে বেচাকানা প্রায় ১০-১২ কোটি টাকার ফল।

নিমসার থেকে কুমিল্লা নগরীর দূরত্ব ১০ কিলোমিটার হলেও পরিবহন ভাড়ার অজুহাতে শহরে ঢুকতেই মৌসুমী ফলের দাম বেড়ে হয় দ্বিগুনেরও বেশি। এর পেছনে খুচরা ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার মানসিকতাকেই দায়ী করছেন পাইকারারা।

একজন পাইকার ব্যবসায়ী বলেন, 'এইখানে কেউ দাম বাড়ায় না। খুচরা পর্যায়ে গিয়ে ওরা দাম বাড়িয়ে দেয়।' 

আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, 'এইখান থেকে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা করে তরমুজ কিনে নিয়ে ওখানে ৫/৬শ' টাকা বিক্রি করে।'

বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিমসারে পাইকারিতে প্রতি পিস তরমুজ আকারভেদে ৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হলেও নগরীর বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সেই তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। ১২ টাকার আনারস বিক্রি হয় ২৫ টাকায়।

মানভেদে বিভিন্ন প্রকারের ২৫০ থেকে ১১০০ টাকার খেজুর খুচরায় ভোক্তাকে গুনতে হয় ৩৫০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত। তবে অতিরিক্ত মুনাফার বিষয়ে কোন সদুত্তর নেই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে।

একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, 'গাড়িভাড়া, যাতায়াত খরচ, শ্রমিক মিলিয়ে খরচটা আমাদের জন্য বেড়ে যায়। তখন তো বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হয়।' 

আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, 'সিন্ডিকেট করে বড় ব্যবসায়ীরা। আমরা হলাম খুচরা বিক্রেতা।' 
ফলের বাজারের এমন বাড়তি চাপ নিতে হিমশিম অবস্থা ভোক্তাদের। তারা বলছেন, সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং না হওয়ায় তার সুযোগ নিচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

তরমুজ কিনতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, 'বাজারে কিন্তু অনেক তরমুজ আছে। কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষের নাগালে নাই। সব জায়গায় দাম বেশি।' 

আরেকজন ভোক্তা বলেন, 'কৃষক কিন্তু ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। দুইটা হাত বদল হয়ে যখন এখানে আসে তখন দাম বেড়ে যায়।'

অবশ্য ভোক্তা অধিকার বলছে, নিয়মিত চালানো হচ্ছে বাজার তদারকি। মূল্য তালিকা না টানানো ও অতিরিক্ত দামের প্রমান মিললেই করা হচ্ছে জরিমানা।

কুমিল্লার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আছাদুল ইসলাম এখন টেলিভিশনকে বলেন, 'কোন দোকানদার যদি অন্যায্যতা করেন বা লাভের মার্জিন অতিক্রম করেন তাহলে তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। পাইকারি ও খুচরা বাজারকে আমরা মনিটরিংয়ে রেখেছি।' 

বিপণন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রমজানজুড়ে কুমিল্লার ৫০০ কোটি টাকার ফলের বাজার নিয়ন্ত্রণে শুধু অভিযান চালালেই হবে না, নিতে হবে টেকসই ও কার্যকরী পদক্ষেপ।

আরএন

Advertisement
Advertisement
Advertisement

এই সপ্তাহের সর্বাধিক পঠিত গুরুত্বপূর্ণ বাজার খবর