
সৈয়দপুরের পাঞ্জাবি নকশা যাচ্ছে সারাদেশে
পাঞ্জাবি নকশায় সৈয়দপুরে ৩০ লাখ টাকা বাণিজ্যের আশা
আমিরুল বাপ্পি , এখন টিভি
২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩:০০
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে সৈয়দপুরের পাঞ্জাবি নকশাকারদের। এবারের ঈদে এ উপজেলা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের কারখানাগুলোয় পাঁচ থেকে ছয় হাজার সেট পাঞ্জাবি নকশা যাবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা থাকায় ৩০ লাখ টাকারও বেশি বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে।
সৈয়দপুরের আলতাফ হোসেন, প্রায় এক যুগের অভিজ্ঞতা নিখুঁত হাতে পাঞ্জাবির কাজের। কলার, গলা, হাতার এক সেট ডিজাইন করতে তার সারাদিন লেগে যায়।
আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি। চাহিদা মত পণ্য আমরা দিতে পারি না, লোকবল সংকটের কারণে।’
ঈদকে সামনে রেখে পাঞ্জাবির নকশা কারিগরদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। বছরজুড়ে কাজ করলেও রমজানের আগে চাপ আরও বেড়ে যায়। হাতের কাজ করা যত পাঞ্জাবি মেলে বাজারে তার বেশিরভাগই যায় সৈয়দপুর থেকে। ডিজাইনভেদে এক সেটের মজুরি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। সময় লাগে এক থেকে দুই দিন। ডিজাইন, কাপড়, সুতা সবই দেয় ফরমায়েশ দাতা প্রতিষ্ঠান।
কারিগররা বলেন, ‘কোন কাজ ভারী আবার কোনটা হালকা। মূলত কাজের ওপর মজুরী নির্ধারণ করা হয়।’
পাঞ্জাবির নকশার কাজ করা এসব কারিগরদের মধ্যে অবাঙালির সংখ্যাই বেশি। আগে অনেকে এ পেশায় জড়িত থাকলেও বর্তমানে বিভিন্ন কারণে কমে যাচ্ছে সৃষ্টিশীল এই কাজের কারিগর। এর মধ্যে বড় কারণ- মেশিনে তৈরি ডিজাইন ও মজুরি কমে যাওয়া।
তারা বলেন, ‘এসব কাজ করতে অনেক সময় ও কষ্ট হয়। কিন্তু সেই তুলনায় মজুরী অনেক কম, তাই বর্তমানে কারিগর তেমন পাওয়া যায় না।’
অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সৈয়দপুরের কারিগরদের কাছে ক্রয়াদেশ কিছুটা কম। তারপরও সব মিলিয়ে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা আয়ের আশা কারিগরদের। সংখ্যা বিবেচনায় যা ৫ থেকে ৬ হাজার সেট।
রমজান শুরু হয়ে গেছে, সেই সাথে শুরু হয়েছে ঈদের ক্ষণগণনাও। আর কিছু না হোক, সামর্থ্য অনুযায়ী অন্তত একটা পাঞ্জাবি কেনা হয় ঈদ উপলক্ষ্যে। যারা একটু শৌখিন, তাদের পাঞ্জাবির হাতের কাজগুলো করা হয় এরকম একেকটি কারখানায়। আপনি যখন দারুণ কোন পাঞ্জাবি গায়ে চড়িয়ে আনন্দ খুজে ফেরেন, তখন তৃপ্তির শ্বাস নেয়, আড়ালে থাকা এই কারিগররা।
আকন