Ekhon TV :: এখন টিভি

সপ্তাহখানেক পরই শুরু হচ্ছে রমজান মাস। এজন্য অনেকে কেনাকাটাও শুরু করেছেন। তবে বাড়তি দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না ক্রেতাদের।

এদিকে অনিয়ম করে পণ্যের দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

ছুটির দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এসছেন এস এম মনিরুজ্জামান। মুদিখানার দোকান থেকে ছোলা, চিনি, তেল, ডাল ও বেসন কিনেছেন ঠিকই। কিন্তু সবকিছুর বাড়তি দামের জন্য কমিয়েছেন কেনাকাটা।

মনিরুজ্জামান বলেন, রমজানে মাসে তো চলতে হবে। আগে তিন কেজি খেজুর কিনলেও এখন এক কেজি খেজুর কিনতে হচ্ছে। 

রুকাইয়া বেগমও বাজার ঘুরে রমজান মাসের জন্য আদা, পেঁয়াজ ও রসুন কিনছেন। তবে দাম নিয়ে খুব একটা স্বস্তি পাচ্ছেন না তিনি। তিনি বলেন, সবকিছুর দামই বাড়তি, কী কিনবো? 

তবে এবার রমজানের আগে এখনও স্বস্তি আছে ছোলা নিয়ে। আগের ৮৫ টাকা কেজিতেই বিক্রি হচ্ছে ছোলা। তবে সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না চিনি। বেসন বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছর রমজানের আগে বেচাকেনা বাড়লেও এবার চিত্রটা ভিন্ন। বাজারে ক্রেতাদের ভিড় কম। আর সবাই কম পরিমাণে কিনছেন।

রমজানে বিভিন্ন মাংসের চাহিদা থাকে বেশি। এ সপ্তাহে গরুর মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। আর আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। কেজিতে গুণতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। আর ব্যবসায়ীরা বললেন, মুরগির সরবরাহ রমজানে বাড়বে। তাই দাম না কমলেও আর বাড়বে না।

এদিকে রমজান উপলক্ষে সকালে বাজার তদারকি করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি ফলের দোকানসহ বেশকিছু দোকানদারকে জরিমানা করা হয়। 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করলে বাজারে কোনো সংকট হবে না। আর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। তাই কারসাজি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সংকট এড়াতে ভোক্তাকে একসঙ্গে এক সপ্তাহের বেশি বাজার না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement