Ekhon TV :: এখন টিভি

দেশে আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করায় বিক্রি বাড়বে দেশি পেঁয়াজের। সুফল পাবেন কৃষক ও স্থানীয় ব্যবসায়িরা। উৎপাদনের এ ভরা মৌসুমে ভালো দাম পেলে আগামীতে চাষেও উৎসাহিত হবেন অনেকে- এমন মত ব্যবসায়িদের। আড়তে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় রমজানে চাহিদা বাড়লেও দাম বাড়ার কোন শঙ্কা নেই, বলছেন পাইকার ব্যবসায়িরা। দেশে বছরে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টন পেঁয়াজ আমাদনি হয়, যার মূল্য প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার।

বিশ্বে পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থান বাংলাদেশের। উৎপাদনের শীর্ষে আছে চীন আর দ্বিতীয় অবস্থান ভারতের। উৎপাদনে তৃতীয় অথচ বিশ্বে সবচেয়ে বেশী পেঁয়াজ আমদানিকারক দেশ বাংলাদেশ। এর মূল কারণ সংরক্ষণের অভাব।

কৃষি সম্প্রসরাণের হিসাবে, বাংলাদেশে বছরে পেয়াজের চাহিদা প্রায় ২৮ লাখ টন। ২০২১-২২ সালে দেশে উৎপাদন হয়েছে ৩৩ লাখ টন। কিন্তু উৎপাদন পরবর্তীতে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায় ২৫-৩০ শতাংশ , অর্থাৎ প্রায় ৮ লাখ টন পেঁয়াজ। যে কারণে চাহিদার বেশী উৎপাদনের পরও করতে হয় আমদানি। তবে গত দুই বছরে চিত্র পাল্টেছে। দেশে পেয়াজের আবাদ বেড়েছে প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ২.৫০ লাখ টন। 

পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় ও দেশী পেঁয়াজে ভরপুর প্রতিটি আড়ত। চলছে জমজমাট বেচাকেনা। গত এক মাসে দামও কমেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে কেজি ২৬-২৮ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ১৫-১৮ টাকায়। এমন প্রেক্ষাপটে আমদানি বন্ধ হলেও দামে খুব একটা প্রভাব পড়বেনা বলে দাবি বিক্রেতাদের।

তারা বলেন, ‘বাজারে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে। এছাড়া ভালো দাম পেয়ে কৃষকরাও ক্ষেতের পেয়াল তুলতে শুরু করেছে। এর ফলে আশা করছি পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।’

সামনে রমজান। রমজানে পেয়াজের চাহিদা প্রায় ৩ লাখ টন। ব্যবসায়িরা বলছেন, পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় রমজানে পেঁয়াজের কোন সংকট হবে না।

সবচেয়ে বড় কথা গত দুই বছর দেশে পেঁয়াজের ভালৌ দাম পেয়েছে কৃষকরা। এতে উৎপাদনে আগ্রহী হয়েছে অনেকে। সরকারি নানা উদ্যোগের কারণে হেক্টর প্রতি উৎপাদন বেঁড়েছে প্রায় ৩ টন। তাই এ মৌসুমে আমদানি বন্ধ করায় কৃষকরা লাভবান হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়িরা।

খাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ি বলেন, ‘এঅবস্থায় কৃষকরাও অনেকটা লাভবান হবেন। ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় বাজারে দাম বাড়বে বলে মনে হয় না।’

দেশে প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের পেঁয়াজ আমদানি হয়। ২০১৯ সালে ভারত রপ্তানি বন্ধ করলে দেশে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৩০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে, এরপরই দেশে উৎপাদন বাড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয় সরকার। তার একটি এ মৌসুমে আমদানি বন্ধ করে কৃষকদের সুরক্ষা দেয়া।

আকন

Advertisement
Advertisement
Advertisement