
রমজানের আগেই খেজুরের বাজারে আগুন
আমিরুল বাপ্পি , এখন টিভি
১৬ মার্চ ২০২৩, ১৪:০২
ইফতারের তালিকায় অন্যান্য খাবারের সঙ্গে খেজুর সবার প্রিয়। প্রায় ৩০ ধরনের খেজুরের মধ্যে ৮ থেকে ১০ ধরনের খেজুরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
সৈয়দপুরে গত বছরের প্রতি কেজি আজওয়া খেজুরের ৪০০ টাকা তবে চলতি বছর পাইকারিতে ৭০০ টাকা। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত বছর আমরা প্রতি কেজি খেজুর বিক্রি করতাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এবার অন্তত ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হবে। এছাড়া জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় মানুষ তুলনামূলক খরচ কমিয়ে দিচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুচরা পর্যায়ে সব খেজুরের দামই ৫০ থেকে ১১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলার সংকটে এলসি জটিলতায় সময়মতো খেজুর আমদানি করতে না পারা এবং ফল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর কারণে এবার দাম বাড়তি।
সৈয়দপুর ফল ব্যবসায়ী সমিতি ও ফল আমদানিকারক সভাপতি বাদশা মিয়া বলেন, আগে ১০ লাখ টাকা দিলে কাস্টমস থেকে প্রায় এক কোটি টাকার পণ্য পেতাম। আর এখন সরকার সেই খাতে শতভাগ শুল্ক নিচ্ছে।
প্রতি রমজানে রংপুর বিভাগে ৫০০ টন খেজুরের চাহিদা থাকে। এবার অধিদপ্তরে ৫০ কোটি টাকার খেজুর বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক ও রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আকবর আলী বলেন, ডলার সংকটের কারণে সরকার চলতি বছর পণ্য আমদানির পুরো সুযোগ দিচ্ছে না। প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে আমদানির তুলনায় দাম বাড়ছে।
এদিকে, সরকার চলতি বছরও টিসিবির মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে কম দামে খেজুর বিক্রি করবে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আমদানি করা খেজুরের দাম কিছুটা বাড়লেও নিম্নবিত্তরা স্বস্তি পাবে।
এসআই