Ekhon TV :: এখন টিভি

ইফতারিতে অন্যসব খাবারের সঙ্গে প্রথমদিককার তালিকায় থাকে খেজুর। প্রায় ৩০ ধরনের খেজুরের মধ্যে ৮ থেকে ১০ প্রকারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সৈয়দপুরে গত বছরের ৪০০ টাকা কেজির আজওয়া খেজুর এবার পাইকারিতে দাম ৭০০ টাকা। খুচরা বিক্রি ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। বাড়তি দামে প্রভাব পড়েছে কেনাবেচায়।

রংপুর বিভাগে এবার রোজায় ৫০ কোটি টাকার খেজুর বেচাকেনার আশা ব্যবসায়ীদের। তবে গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি খেজুরে দাম বাড়বে এক টাকারও বেশি। কেজি হিসেবে যা অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট, এলসি জটিলতা ও বিদেশি ফলে আমদানি শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় খরচ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, ফলে দামও দ্বিগুণ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুচরা পর্যায়ে সব খেজুরের দামই ৫০ থেকে ১১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলার সংকটে এলসি জটিলতায় সময়মতো খেজুর আমদানি করতে না পারা এবং ফল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর কারণে এবার দাম বাড়তি।

সৈয়দপুর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ফল আমদানিকারক বাদশা মিয়া বলেন, ‘আগে ১০ লাখ টাকা দিলে এক কোটি টাকার পণ্য হাতে পেতাম। কিন্তু এখন যে পরিমান টাকা, সেই পরিমান পণ্য।

প্রতি রমজানে রংপুর বিভাগে ৫০০ টনের মত খেজুরের চাহিদা থাকে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এবার বিভাগে ৫০ কোটি টাকার খেজুর বেচাকেনা হবে।

রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকও আমদানিকারক আকবর আলী বলেন, ‘ডলার সংকটের কারণে আমদানিতে সরকার তেমন অনুমতি দিচ্ছে না। ১০ জনের মধ্যে একজনকে অনুমতি দিচ্ছে। সেদিক থেকে চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হচ্ছে, যার জন্য বাজারে দামটাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

এদিকে এবছরও রমজান জুড়ে টিসিবির মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে কমদামে খেজুর বিক্রি করবে সরকার। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আমদানি করা খেজুরের দাম কিছুটা বেশি হলেও স্বস্তিতে থাকবেন নিম্নবিত্তরা।

খেজুরের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন, জিঙ্ক, আঁশসহ নানা পুষ্টি উপাদান। বছরের অন্য সময় না হলেও রমজান মাসে এই পুষ্টি উপাদানগুলোর অনেকটাই পূরণ হয় ইফতারিতে খেজুরের মাধ্যমে। 

তবে এবছর সেই পুষ্টি পেতে কিছুটা হলেও বাড়তি অর্থ গুণতে হবে সাধারণ মানুষকে। অন্য সব কিছুর সাথে বিশেষ এই ইফতারি আইটেমের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাই চিন্তার ভাজ সবার কপালেই। 

আকন

Advertisement
Advertisement
Advertisement