Ekhon TV :: এখন টিভি

খাতুনগঞ্জে ১২ টাকা কমেছে ছোলার দাম

পাইকারিতে বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে, হতাশ ব্যবসায়ীরা

শোয়েব রহমান , এখন টিভি

১৫ মার্চ ২০২৩, ১২:৫২

রোজার আগে চাহিদার অতিরিক্ত ছোলা আমদানি হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। যার ফলে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা কমেছে ছোলার দাম। তবে ক্রেতা সংকটে বিপদে ব্যবসায়ীরা। পাইকারিতে বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে।

এছাড়া এবার বেশিরভাগ ছোলাই ভারত থেকে স্থলবন্দরে দিয়ে আসায় বেড়েছে পরিবহন খরচ। নিয়ে হতাশা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

খাতুনগঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি আড়তেই থরে থরে সাজানো ভারতীয় ছোলা। যেখানে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন ছোলা। সে তুলনায় ক্রেতা কম। আবার আজ এক দাম তো কাল আরেক দাম। গেল কয়েক দিনে কমেছে প্রায় ১০ থেকে ১২ টাকা।

প্রতি বছর দেশে রোজার আগে ছোলা আমদানি হয় অস্ট্রেলিয়া বা তানজানিয়া থেকে। তবে এবার প্রায় ৯৫ শতাংশ ছোলা এসেছে ভারত থেকে। অল্প সময়েই চাহিদার অতিরিক্ত ছোলা আমদানি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়লেও কপাল পুড়েছে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়িদের।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের সালমা ট্রেডার্সের ম্যানেজার জুয়েল মহাজন বলেন, ‘ভারত থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ ছোলা বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসছে। এতে চাহিদার থেকেও বেশি ছোলা এসে পড়ায় দাবে একটা প্রভাব পড়েছে।’

হাজি ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমরা যারা খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আছি তারা অনেক বড় লোকসানে পড়বো।’

ভারত থেকে আমদানি করা ছোলা বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ঢুকছে। পরবর্তীতে যা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানের মোকামে। এতে করে রোজায় ছোলার চাহিদার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের যোগান দেয়া খাতুনগঞ্জে বেচা-কেনা কমেছে অর্ধেকেরও বেশি।

খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্ল্যাহ জাহেদী বলেন, ‘এলসি জটিলতায় ব্যবসায়ীরা পণ্য আনতে পারেনি। এর ফলে আমাদের বাধ্য হয়ে ভারতনির্ভর হতে হয়েছে।’

ব্যবসায়ীদের দাবি, বাংলাদেশের ডলার সংকটের সুযোগে ভারত অন্য দেশ থেকে ছোলা আমদানি করে মজুত করেছে। সেটিই এখন বাংলাদেশে রপ্তানি করছে। এতে ছোলার আমদনি মূল্য বেড়েছে।

খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া থেকে আগে বাংলাদেশও ছোলা আমদানি করতে পারতো, কিন্তু সরকার সেটি করেনি। কিন্তু ভারত সেটা সময়মত আমদানি করেছে, এবং এখন তারা ভালো লাভে বাংলাদেশে রপ্তানি করছে।’

এদিকে সড়ক পথে ছোলা আমদানি করতে গিয়ে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। কারণ ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণের কারণে ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহনে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। যা দেশের বাকি ৩৫ মহাসড়কের ব্যতিক্রম। ফলে প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে পড়ার দাবি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের।

তবে পর্যাপ্ত ছোলা আসায় রোজার আগে পণ্যটির দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

আকন

Advertisement
Advertisement
Advertisement