
দেশে অটোমোবাইল শিল্পে বিনিয়োগ হবে লাভজনক

এফবিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিট
১৩ মার্চ ২০২৩, ১৬:২০
এখনটিভি ডেস্ক, এখন টিভি
ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নতির কারণে দেশে পরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির বড় বাজার তৈরি হয়েছে। রয়েছে রপ্তানির সম্ভাবনাও। এ অবস্থায় অটোমোবাইল শিল্পে বহুমুখী বিনিয়োগ যে বেশ লাভজনক তা বলাই যায়। ঢাকায় বিজনেস সামিটের শেষ দিনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করলেন এদেশের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ, আইসিটি খাত ও ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগের নানা বিষয় উঠে আসে শেষ দিনের নানা সেশনে।
দু'দশক আগে দেশে যানবাহন ছিলো ২ মিলিয়ন। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ মিলিয়নে। অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে আগামী ১০ বছরে দ্বিগুণ হবে সড়ক-মহাসড়কের পরিমাণ।
স্কুল-কলেজে পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে ৫গুন, কাজের কারণে শহর ও গ্রামে মানুষের চলাফেলাও বাড়েছে। এছাড়া কৃষিসহ ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য পরিবহনে এখন সারা দেশেই ভারি যানবাহনের প্রয়োজন। ফলে দেশে পরিবহনের রয়েছে বহুবিধ চাহিদা।
বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে উদিয়মান এই খাতটির সম্ভাবনা তুলে ধরা হয় বিদেশি ও দেশীয় বিনিয়োগকারীদের সামনে। দেশের অভ্যন্তরে অটোমোবাইল শিল্প প্রতিষ্ঠা ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচিত হয় সামিটের প্লেনারি সেশসনে।
রানার গ্রুপের সিইও হাফিজুর রহমান খান বলেন, ২০০০ সালে ৫০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ছিল এখন তা বেড়ে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটান হয়েছে। আগামী ১০ বছরে এটি বেড়ে দ্বিগুন হবে বলে আশা করি।
মাথাপিছু আয়ের হিসেবে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জন করেছে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণী। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ফলে এই শিল্পে বিনিয়োগ হবে বেশ লাভজনক।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাতলুব আহমেদ বলেন, সাধারন গাড়ির তুলনায় ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যববহুল।সরকার সহায়তা করলে জনগন এটি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের সামনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশনের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে আলোচকরা। গত দশ বছরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, হাইটেক পার্ক, প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি বাংলাদেশকে আরো এক ধাপ এগিয়ে রেখেছে বলে মনে করেন বিদেশি বিশেষজ্ঞরা।
তিনদিন ব্যাপী সামিটের শেষ দিন আজ। যেখানে অংশ নিয়েছেন সাতশ'রও বেশি দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞ।
এফএইচ