
ব্রয়লারের দাম বাড়ছেই, ইলিশের কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি
বেড়েছে মাছ-মুরগি-মাংসের দাম, কমেছে ডিম
তানজীম শাফিন , এখন টিভি
১০ মার্চ ২০২৩, ১৬:১৭
গত কয়েকদিনের বাজারের হিসেব বলছে সহসাই মিলিয়ে গেছে আমিষের দাম বাড়ার সীমারেখা। দিন দিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। আর নিম্নশ্রেণীর কাছে মাংসের ছিটেফোঁটাও হয়ে উঠেছে মূল্যবান।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শুধু মুরগির পা, গিলা-কলিজা ও মাথা মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহ ব্যবধানে সোনালী ও দেশি মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি। বিক্রি হচ্ছে ২৫৫ থেকে ২৬০ টাকা কেজিতে। সোনালি ও কর্ক মুরগি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা।
মুরগি বিক্রেতা বলেন, আমি গতকাল ২৩৫ টাকা করে মুরগি বিক্রি করছি। আজকে যখন আমি ২৬০ টাকা চাচ্ছি তখন অনেক কাস্টমারের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দাম বাড়ার কারণে অনেকেই বাজার ঘুরে সদাই না করেই চলে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন।
বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, যে পণ্যের দাম কমে যায়, সেই পণ্যের দাম বাজারে সঙ্গে সঙ্গে কমে না। তখনও ওই বেশি দামেই কিনতে হয় মানুষদের। আর যখন বলে দাম বাড়তেছে, তখন সাথে সাথেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়।
স্বস্তি নেই গরুর মাংসের বাজারেও। এই সপ্তাহে দাম কিছুটা বেড়ে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। তবে কিছুটা কমেছে ডিমের দামে। ডজনপ্রতি কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
ডিমের ব্যাপারী বলেন, রমজান মাসের আগে এখন ডিমের দাম একটু কম আছে। কিন্তু রমজান মাসে কি হয়, সেটা তো আর আগে থেকে বলা যায় না। রমজানের পরেই সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা (দাম বৃদ্ধি) হয়।
গরু মাংসের দোকানি বলেন, গরুর মাংসের দাম বাড়তি। তাই আমগো বেচাকেনাও কম। কাস্টমার মাংসের দাম শুইনাই চইলা যায়। কেনার সামর্থ্য থাকে না সবার।
বাজার করতে আসা একজন নারীর সাথে কথা হয় এখন টিভির। তিনি বলেন, আমি আর আমার স্বামী চাকরি করেও সংসার চালাতে পারছি না। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। সংসার খরচও বেড়ে গেছে।
ইলিশের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া কোরাল, রুই, পাঙ্গাসেও কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা।
বাজার আর জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান খরচের কাছে মাসিক আয়ের পুরোটাই যেন কর্পূর। অবশিষ্ট থাকছে না কিছুই।
একজন ক্রেতা বলেন, যে পরিমাণ মাছের দাম বাড়ছে তা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য কিনে খাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। শুধু মাছ না, পুরো বাজারে কোনো কিছুরই দাম কম নাই।
আরেকজন ক্রেতা বলেন, আয়ের চেয়ে ব্যয় যদি বেশি হয় তাহলে সমস্যা তো অবশ্যই হয়। কিন্তু কিছু তো করার নেই। খাবার খেয়ে বেঁচে তো থাকতে হবে।
রোজা সামনে রেখে ক্রেতাদের দাবি দাম বাড়ার এই মহোৎসবে লাগাম টানতে দরকার বাজার তদারকি।
আরএন