
জ্বিনের ভয়ে পরিত্যক্ত দ্বীপে চিত্রকর্ম প্রদর্শনী
সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিনিধি, এখন টিভি
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:১৫
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ প্রদেশের জাজিরা আল হামরা দ্বীপটি ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রায় জনমানব শূন্য। এখানকার বহু বছরের পুরোনো ঘরবাড়ি আর ধ্বংসস্তুপে মিশে আছে নানা রহস্য। যার কারণে দ্বীপটি পরিচিতি পায় ভুতুড়ে রাজ্য হিসেবে। জনশ্রুতি আছে আত্মা আর জ্বিনদের বসবাস এখানে।
স্থানীয়রা জানান, জ্বিনের ভয়ে ১৯৬৮ সালে গ্রামটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে এখানকার বাসিন্দারা আবুধাবিতে পাড়ি জমান। তখন ঘরবাড়ি ছিল অন্তত পাঁচশটি। এছাড়া ছিল ২৫টি মুক্তা সংগ্রহের নৌকা। সময়ের পরিক্রমায় এখন সেখানে কেবল দেখা মিলছে ঘর বাড়ি আর পুরোনো মসজিদের ধ্বংসাবশেষ।
দর্শনার্থীরা জানান, এই জায়গাটা অনেক পুরোনো। এখন শুধু ধ্বংস হয়ে যাওয়া পুরোনো ঘড়-বাড়ি আছে। ঘুরতে এসে ভালো লাগছে।
রহস্যে ঘেরা এই দ্বীপটি পর্যটন নগরীতে পরিণত করতে উদ্যোগ নিয়েছে রাস আল খাইমাহ প্রদেশের পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে কিছু ঘরবাড়ি সংস্কার করে আয়োজন করা হয় চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর। যেখানে অংশ নিয়েছেন অন্তত ৩৫টি দেশের শিল্পী। এতে একসময়ের জনমানব শূন্য দ্বীপটি রূপ নিয়েছে ভিন দেশি মানুষের মিলন মেলায়। বাড়ছে অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য। দেখা গেছে প্রাবাসী বাংলাদেশিদেরও।
মার্চের শেষ পর্যন্ত চলবে চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর এই আয়োজন। এ সময়ের মধ্যে অন্তত ৩৫ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের। চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পেরে খুশি বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা।
তেল উৎপাদনের পাশাপাশি পর্যটন খাতেও গুরুত্ব দিয়ে আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে প্রতি বছরই নেয়া হচ্ছে নানামুখী উদ্যোগ। গেলো একবছরে শুধু দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক পর্যটক বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২০২২ সালে দুবাই ভ্রমণ করেছেন প্রায় ১ কোটি ৪৩ লাখ পর্যটক। যা করোনা পরবর্তী সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটকদের সমাগম।
এফএইচ