Ekhon TV :: এখন টিভি

ভারতের উত্তরাখণ্ডের জোশিমঠ শহর মাটির নিচে দেবে যাচ্ছে। শহরের প্রায় ৭০০ বাড়িতে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে এবং নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম। আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশটির উচ্চ আদালত দেবে ক্ষতিপূরণের রায়।
ভারতের উত্তরাখাণ্ডের জশিমঠ শহরের প্রায় ৭০০ বাড়িতে ভয়াবহ ফাটল দেখায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮৯০ মিটার উঁচু এ শহরটি শিগগিরই মাটির নিচে দেবে যাবে । তাই যথাযথ সময়ে মানুষকে নিরাপদে সরে নেয়ার নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, আমি আর আমার ভাই একই ভবনে থাকতাম। কিন্তু এখন স্থানীয় সরকার বাড়ি ছাড়তে বলছে। আমরা এখন কোথায় যাবো তা এখনও জানি না।

হিন্দু ও শিখ তীর্থযাত্রীদের পুণ্যভূমি বদ্রিনাথ আর হেমকুন্ড শাহিবে পৌঁছানোর রাস্তা এই শহর। প্রতিবছর এখানে কয়েক হাজার তীর্থযাত্রী ভিড় করেন। এছাড়া হিমালয়ে ট্রেকিং করতে আসা পর্যটকদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় জশিমঠ।

হঠাৎ করে এই শহরের এমন দুর্যোগে দিশাহারা বাসিন্দা ও খুচরা ব্যাবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে নেমেছেন বিক্ষোভ মিছিলে।

স্থানীয় আরেকজন বলেন, জশিমঠ বাজার ধ্বংস হলে আমরা বাঁচবো কিভাবে আমাদের জানা নেই। আমরা বাজারের দোকানের টাকা  দিয়ে চলে থাকি। আমার স্বামী ও ছেলের কোনো আয় নেই।

এরই মধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ। উঁচুতে থাকা ভারী স্থাপনাগুলো শুরুতে ধ্বংস করা হবে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।

কেন্দ্রীয় ভবন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিজ্ঞানী  ডি. পি কানুনগো বলেন, প্রাথমিক তথ্য নেয়ার পরে আমরা পুরো এলাকা থেকে ভারি জিনিসপত্র সরিয়ে নিবো। পরে উপর থেকে ভবনগুলো ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে নিচের দিকে আসবো। এছাড়াও পাহাড়ের কাছের ভবনগুলো আগে ভাঙ্গা হবে।

জশিমঠের মোট ২৫ হাজার বাসিন্দা রয়েছে। তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি ভারতের উচ্চ আদালতে চলা শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করা হবে ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ গলে যাওয়া আর অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে শহরের এমন করুণ অবস্থা। ২০২১ সালে ভয়াবহ বন্যার পর থেকেই এ শহরের বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

এসআই

Advertisement
Advertisement
Advertisement