
ঋণসীমা না বাড়লে আটকে যাবে যুক্তরাষ্ট্র
এখনটিভি ডেস্ক, এখন টিভি
২৫ মে ২০২৩, ১৭:৫৭
ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। পহেলা জুনের মধ্যে জাতীয় ঋণের সীমা না বাড়ানো হলে সরকারি খরচ মেটানো সম্ভব হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন আইনমন্ত্রী। তবে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি আশাবাদী যে উভয় পক্ষ শিগগিরই একটি সমঝোতায় আসবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হয়ে যাবে কিনা এ নিয়ে এখনো স্পষ্ট নয়। তবে জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে বুধবারও একমত হতে পারেনি মার্কিন আইন প্রণেতারা। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মোট ঋণ ৩১ লাখ কোটি ডলারের ওপরে।
দেশটির মোট জিডিপির ১২০ শতাংশ। আর মাত্র ৭ দিনের মধ্যে যদি এ বিষয়ে আইন প্রণেতারা একমত না হতে পারেন, সেক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতিতে নেমে আসবে বিপর্যয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, জুনের প্রথম দিকে, সম্ভবত পহেলা জুন সরকারের খরচ মেটানোর মতো আমাদের সম্পদের শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং, জুনের শেষভাগ কিংবা মাঝামাঝি পর্যন্ত আমাদের খরচ চালিয়ে নেবার মতো অর্থ নেই।
চলতি বছর রিপাবলিকানরা ঋণের সীমা বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে বিডেন প্রশাসন সংস্কারের মাধ্যমে আইন পাস করতে পারছে না। অতএব, ডেমোক্র্যাটদের প্রতিদিন রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের সাথে মোকাবিলা করতে হয়। কট্টরপন্থী রিপাবলিকানরা মার্কিন অর্থনীতিকে পঙ্গু করতে চায়, ক্ষুব্ধ ডেমোক্র্যাটিক নেতারা অভিযোগ করেন।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেট নেতা হাকিম জেফরিস বলেন, সময় এসেছে প্রতিনিধি পরিষদে কট্টরন্থীদের দল ভেঙ্গে রিপাবলিকানদের ডেমোক্রেটদের সঙ্গে যোগ দেয়া এবং সংকট সমাধানে এগিয়ে আসা। পাঁচজন রিপাবলিকানদের ব্যর্থতা কেবল একটি কথাকেই প্রতিষ্ঠিত করবে যে দিন শেষে রিপাবলিকানরা যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়া হিসেবে দেখতে চান। তাই তাদের কাছে সুযোগ আছে কথাটিকে মিথ্যা প্রমাণ করে দেয়ার।
তবে এখনো মার্কিনীদের আশা দিয়ে যাচ্ছেন হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি। দ্বিমত থাকলেও শিগগিরই দুই দল সমঝোতায় আসবে বলে আশাবাদী তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি বলেন, ঋণসীমার বিষয়ে আলোচনা করার জন্যহোয়াইট হাউসে আজ আমি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছি। এখনো কিছু বিষয়ে আমাদের মত সম্পূর্ণ আলাদা। তবে মনে হচ্ছে একমতে পৌঁছানো কঠিন হবে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপল এ রেটিংকে নেগেটিভ ওয়াচে রেখেছে আন্তর্জাতিক ঋণ মান সংস্থা ফিচ রেটিং। ত্রিপল এ রেটিং এর অর্থ দেউলিয়া হবার ঝুঁকি সর্বনিম্নে। তবে ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে বিবাদমান পরিস্থিতিতে এ রেটিংটি নজরদারিতে রেখেছে বিশ্বের শীর্ষ এই মান সংস্থাটি।
এসআই