Ekhon TV :: এখন টিভি

আকস্মিক সফরে ইউক্রেনে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত মারিউপোলে পা রাখলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একদিন আগেই কৃষ্ণসাগরে ক্রিমিয়াও সফর করেন তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সংস্থাটির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরই দখল করা অঞ্চলগুলো পরিদর্শনে যান ৭০ বছর বয়সী এ নেতা।

ইউক্রেনে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্ক অঞ্চলের খারৎসিজস্ক শহরের একটি আবাসিক ভবন শনিবারের গোলাবর্ষণে মুহূর্তে ধ্বংসস্তুপে রূপ নেয়। শহরের মেয়র জানান, কাছেই ইউক্রেন সরকার নিয়ন্ত্রিত ক্রামাতোর্স্ক থেকে হামলা চালানো হয়েছে খারৎসিজস্কে।

দোনেৎস্ক পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনের তৎপরতাকে তুচ্ছ প্রমাণেই যেন হঠাৎ সফরে অঞ্চলটিতে শনিবার পা রাখেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরিদর্শন করেন দোনেৎস্কের মারিউপোলের কয়েকটি জেলা। 

রুশ বার্তা সংস্থা টাস জানায়, হেলিকপ্টারে চড়ে পরিস্থিতি পরিদর্শনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি এলাকায় থেমে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপেও মেতে ওঠেন প্রেসিডেন্ট।

একদিন আগেই কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপদ্বীপেও সফর করেন পুতিন। ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া আত্মসাতের নবম বর্ষপূর্তি ছিল সেদিন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সংস্থাটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরই দখলকৃত অঞ্চলগুলো পরিদর্শনে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব রাজনীতিতে খলনায়ক হয়ে উঠলেও গেল বছর মে মাস থেকে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা দোনেৎস্কে বেশ জনমত গড়ে উঠেছে পুতিনের পক্ষে।

তাকে গ্রেপ্তারের সাহসই করবে না কেউ। আমি অন্তত তাই মনে করি। তেমন বুকের পাটাই নেই কারো। পুতিন যেখানেই থাকুন না কেন, তাকে উদ্ধার করে আনবো আমরা।

পুতিনকে গ্রেপ্তারের কথা বলার মতো হাস্যকর কিছু হয় না। এই অঞ্চলকে তিনি অনেক সাহায্য করছেন। শিশুদের রাশিয়া ধরে নিয়ে গেছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলো সত্য নয়। রাশিয়া আমাদের সাহায্য করছে।

পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ আর ইউক্রেন থেকে শিশুদের জোর করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে আইসিসি। মস্কো অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেও কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এক বছরের বেশি সময়ে ১৬ হাজারের বেশি শিশুকে ধরে নিয়ে গেছে রাশিয়া। অভিযোগ ন্যায্য বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্রও।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি অভিযোগের ভিত্তি আছে। তিনি যুদ্ধাপরাধ করেছেন কি-না, সে প্রশ্নের জবাব মিলতে এখনও বাকি। কিন্তু এটা অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ যার তদন্ত হওয়া দরকার।’

আইসিসির অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ভুয়া বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ক্রেমলিন। তবে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি পুতিন নিজে।

আকন

Advertisement
Advertisement
Advertisement