Ekhon TV :: এখন টিভি

অবশেষে কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির মেয়াদ আবারও বাড়ালো রাশিয়া-ইউক্রেন। এতে ইউক্রেন তার কৃষ্ণসাগরের বন্দর দিয়ে নিরাপদে কয়েক মিলিয়ন টন খাদ্য শস্য রপ্তানি করতে পারবে বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কিয়ে ও জাতিসংঘ। তবে মেয়াদ কত দিন বাড়লো, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ অভিযান শুরু হলে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায় ইউক্রেন থেকে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে দাম হয়ে যায় আকাশছোঁয়া। এরপর গেল জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুর্কিয়ের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ সাগর দিয়ে নিরাপদে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

নভেম্বরে সেই চুক্তিটি আরও ১২০ দিনের জন্য নবায়ন করে দুই দেশ। যার মেয়াদ শেষ হয় ১৮ই মার্চ। রাশিয়া আবারও চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি হবে কি-না এমন জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ ও তুর্কিয়ে। তবে কত দিন বাড়ানো হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।

তুর্কিয়ের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেন, ‘কৃষ্ণ সাগর হয়ে নিরাপদ শস্য করিডোর চুক্তির সময়কাল আবারও বাড়ানো হয়েছে। যা যুদ্ধের মধ্যে একটি ইতিবাচক দিক। এটি প্রমাণ করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ।’

ইউক্রেনের দাবি, কৃষ্ণসাগর দিয়ে রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ আরও ১২০ দিন বাড়ানো হয়েছে। তবে মস্কো বলছে, মে মাসে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নির্ভর করছে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওপর।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববাজারে রাশিয়ার খাদ্যপণ্য ও সারের প্রসারের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতার পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির চুক্তি বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্ববাজারে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সরবরাহকারী দেশ। এমনকি শীর্ষস্থানীয় সার রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কোটি টন শস্য রপ্তানি করেছে ইউক্রেন। যার মধ্যে রয়েছে ভুট্টা ও গম। এসব রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্যস্থল চীন, ইতালি, স্পেন, তুর্কিয়ে ও নেদারল্যান্ডস।

আকন

Advertisement
Advertisement
Advertisement