Ekhon TV :: এখন টিভি

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে। ইউক্রেন থেকে শিশু অপহরণের অভিযোগে শুক্রবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এ পরোয়ানা জারি করে। বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে মস্কো। 

ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে গেলো বছরে ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিকে দখলের উদ্দেশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করে রাশিয়া। এরপর থেকে কোন ধরনের বিরতি ছাড়াই তুমুল যুদ্ধে মেতেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। চলে হামলা-পাল্টা হামলা।

এতে ইউক্রেনের বেসামারিক নাগরিকসহ প্রাণ হারিয়েছেন হাজারো সেনা। নিজেদের অঞ্চল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ইউক্রেনীয়রা।

এসব ঘটনা আমলে নিয়ে এবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মুখোমুখি হলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে সাবেক কেজিবি নেতা পুতিনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে পরোয়ানাটি জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসি।

আইসিসির অভিযোগ, মস্কোর দখল করা অঞ্চলগুলো থেকে ইউক্রেনীয় শিশুদের বেআইনীভাবে রাশিয়া অপহরণ করেছে। আর এ অপরাধের সঙ্গে পুতিন জড়িত রয়েছেন। একই অভিযোগে দেশটির প্রেসিডেন্ট দফতরের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রেসিডেন্ট পিওটর হফমানস্কি বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়ার এই সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আদালত সবকিছু চুল চেরা বিশ্লেষণ করে দেখছে। আপাতত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সহোযোগিতার উপর নির্ভর করবে।’

এমন ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। পুতিনের এমন পরিস্তিতিতে খুশি ইউক্রেনীয়রা।

যদিও আইসিসির এমন অভিযোগ যুদ্ধের শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিলো মস্কো। আর এখন পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারির ঘোষণায় বিস্মিত খোদ রাশিয়ান নাগরিকরা।

আইসিসির এমন সিদ্ধান্তের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিখ। এমন পরিস্থিতিতে পুতিন জাতিসংঘের সদরদপ্তরে প্রবেশ করতে পারবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কোন মন্তব্য করেননি তিনি। জানান, সংকট সমাধানে নিজেদের রুপরেখা অনুযায়ী কাজ করবে জাতিসংঘ।

আকন

Advertisement
Advertisement
Advertisement