
আর্জেন্টিনায় একশ'র ঘরে মূল্যস্ফীতি
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাকাল আর্জেন্টিনার মানুষ
এখনবিশ্ব ডেস্ক, এখন টিভি
১৬ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩০
অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত আর্জেন্টিনায় তিন দশক পর মূল্যস্ফীতি ছুঁয়েছে একশ'র ঘর। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে নিত্যপণ্য। লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে কমছে দেশটির মুদ্রা পেসোর মান। অন্যদিকে ভয়াবহ ক্ষরার কারণে শস্য রপ্তানি কমার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
গেল ফেব্রুয়ারিতে আগের মাসের তুলনায় যা ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২.৫ শতাংশে যা ৩ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। লাতিন দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রধান প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য। শুধু গত মাসেই দেশটিতে খাদ্যের মূল্য বেড়েছে ৯.৬ শতাংশ। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে দেশটির সাধারণ জনগণের।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘জনগণের কাছে অর্থ নেই। তারা কীভাবে খাদ্য কিনবে? পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেছে।’
আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘অর্থনীতির দুরাবস্থা দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এখন মনে হচ্ছে না থেয়ে মারা যাবো।’
মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকায় কমছে আর্জেন্টাইন মুদ্রার মান। শুধু জানুয়ারি মাসেই ডলারের বিপরীতে পেসোর মান কমেছে ১২ শতাংশ পর্যন্ত। বর্তমানে ১ ডলারের বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ২০২ আর্জেন্টাইন পেসো যা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ম।
এদিকে ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কবলে বুয়েনস আয়ার্স। এতে করে দক্ষিণ আমেরিকার শস্য ভাণ্ডার খ্যাত দেশটির কৃষিখাতে নেমে এসেছে বিপর্যয়। এ অবস্থায় বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ সয়াবিন ও ভুট্টা উৎপাদনকারী দেশটির রপ্তানি আয় কমতে পারে ৮০০ কোটি ডলার পর্যন্ত।
বর্তমানে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে মাত্র ৪৪০ কোটি ডলার। আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণ পেতে মার্চের শেষ নাগাদ রিজার্ভের পরিমাণ ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। তবে খরার মধ্যে এ শর্ত পূরণের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তাই লাতিন দেশটির অর্থনতিক দুর্দশা আরো দীর্ঘস্থায়ী হবার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
আকন