Ekhon TV :: এখন টিভি

ইসরাইলের সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষি জমিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি নারী। যেখানে ঘুরতে যাওয়া দর্শনার্থীদের জন্য ঐতিহ্যবাহী খাবার নিজেই তৈরি করেন। এমন উদ্যোগে খুশি ভ্রমণপিপাসুরা। এতে দেশটির অর্থনৈতিক মুক্তি ও ঐতিহ্য রক্ষা পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। 

ইসরাইলি বাহিনীর দখলদারিত্ব ও একের পর এক হামলায় প্রাণ যাচ্ছে ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষের। জীবনের নিরাপত্তা যেমন হুমকিতে, তেমন নাজুক অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন ফিলিস্তিনিরা।

এরকম পরিস্থিতিতেও ভিন্ন কিছু করে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা থেমে নেই। প্রতিনিয়ত চলছে জীবন যুদ্ধ। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া গাজার এক বয়স্ক নারী তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইসরাইলের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিজের কৃষি জমিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন। ৬৯ বছর বয়সী আবু রেজিলার ভিন্নধর্মী পর্যটন কেন্দ্রে ঐতিহ্যবাহী খাবার ও বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।

আবু রেজিলা বলেন, এটি মানুষের কাছে পর্যটন স্থান হয়ে উঠেছে। স্থানটি নিরিবিলি, তাছাড়া গাছপালা থাকায় প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেয়া যায়। এমনকি ঘুরতে আসা মানুষরা এখানকার খাবার অনেক পছন্দ করেন।

বছরের পর বছর ধরে সীমান্ত বন্ধের কারণে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনির ভ্রমণের সুযোগ মেলেনি। এরমধ্যে বয়স্ক নারীর এই আয়োজন বিশৃঙ্খল নগর জীবনে শান্তির পরশ এনে দিয়েছে। ইতোমধ্যে যা আকৃষ্ট করেছে নানা বয়সী মানুষকে।

দর্শনার্থীরা বলেন, বাচ্চাদের নিয়ে সমুদ্রে ঘুরতে গেলে কোনো গোপনীয়তা থাকে না, অনেক মানুষ দেখে। এখানে কাঠের রান্না করা খাবারের পাশাপাশি নিরিবিলি সময় কাটানো যায়। আমরা এমন পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। বড় কথা ফিলিস্তিনি ঐতিহ্য অনুভব করা যায়।

ফিলিস্তিনের এই নারীর ব্যবসায় মনোনিবেশ আরও হাজারো নারীকে অনুপ্রাণিত করবে। সেই সঙ্গে অবদান রাখবে দেশের অর্থনীতিতে এবং রক্ষা পাবে দেশীয় ঐতিহ্য, এমনটাই মনে করছেন তাঁর প্রতিবেশীরা।

এএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement