
ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছে তুর্কিয়ের অর্থনীতি
এখনটিভি ডেস্ক, এখন টিভি
১১ মার্চ ২০২৩, ১৮:৩৪
বিদায়ী বছরে আস্তে আস্তে ঘুরতে শুরু করেছিলো তুর্কিয়ের অর্থনীতির চাকা। তবে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এক সময়ের শীর্ষ দাতা দেশটিকে এখন নিতে হচ্ছে অন্যের সহায়তা। এরমধ্যেই প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ১৪ মে নির্বাচন আয়োজনে ডিক্রিতে সই করেছেন তিনি। রাজনীতি বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, নির্বাচনে কঠিন চালেঞ্জে পড়তে হবে এরদোয়ানকে।
গেল ফেব্রুয়ারির শক্তিশালী এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে শুধুমাত্র দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৫ হাজার। ধ্বংস হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার কংক্রিটের স্থাপনা। উদ্বাস্তু হয়েছেন প্রায় ২৭ লাখ মানুষ। ভূমিকম্পের সার্বিক প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতিতে।
টার্কিশ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড বিজনেস কনফেডারেশনের তথ্য বলছে, ভূমিকম্পের কারণে তুর্কিয়ের ক্ষতির পরিমাণ দাড়াবে প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। অন্যদিকে জাতিসংঘের হিসেবে ক্ষতির অঙ্ক ছাড়াবে ১০ হাজার কোটি ডলার। তিন বছর আগেও বিশ্বব্যাপী ৩ হাজার কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলো তুর্কিয়ে যা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। অথচ শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ পর্যন্ত ১০৫টি দেশ ও ১৬টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের সহায়তা নিয়েছে দেশটি।
চলতি বছর পালন করা হবে আধুনিক তুর্কিয়ে প্রজাতন্ত্রের ১০০তম বার্ষিকী। একইসঙ্গে মে মাসে অনুষ্ঠিত হবার কথা দেশটির জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে মূল্যস্ফীতি কমানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ২০২২ সালের অক্টোবরে ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ছোঁয়ার পরে ফেব্রুয়ারিতে তা নেমে দাড়িয়েছে ৫৫ শতাংশে। এমনকি বিদায়ী বছরে ডলারের বিপরীতে পড়তে থাকা লিরার মান বাড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ। একইসঙ্গে অর্থনীতিও বেড়েছিলো ৫.৬ শতাংশ।
অর্থনৈতিক সংকট নিয়ন্ত্রণে এনে জাতিয়তাবাদী চেতনা পুর্নজীবিত করায় নির্বাচনের আগে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলো প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের একে পার্টি। তবে ৬ ফেব্রুয়ারির আকস্মিক এ দুর্যোগে ঘুরে যায় পাশার দান। ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজে ধীর গতির কারণে সরকারের সমালোচনায় মুখর দেশটির সাধারণ জনগণ। এ সুযোগে এরদোয়ানের দুইদশকের কর্তৃত্ব ভেঙ্গে দিতে এক হয়ে কাজ করছে বিরোধী দলগুলো। তাই নির্বাচনে একে পার্টিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
আকন