
মিশরে ৩২টি সরকারি প্রতিষ্ঠান বিক্রির সিদ্ধান্ত!
নিত্যপণ্যও কিস্তিতে!
এখনটিভি ডেস্ক, এখন টিভি
০৮ মার্চ ২০২৩, ১৮:১৭
মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকায় কিস্তিভিত্তিক অ্যাপের দিকে ঝুঁকছে মিশরীয় জনগণ। বিলাসীপণ্য ছাড়াও কিস্তির সুবিধা মিলছে নিত্যপণ্যে।
দেউলিয়া হওয়া ঠেকাতে ৩২টি সরকারি প্রতিষ্ঠান বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিশর সরকার। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত হবে এতে।
দেশটির মুদ্রা মিশরীয় পাউন্ড, যা গত ১১ মাসে ডলারের বিপরীতে প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। জানুয়ারিতে কায়রোতে মূল্যস্ফীতি ২৫.৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
দেশের প্রায় ১০ কোটি জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি। খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য সাধারণ মিশরীয়দের স্বস্তির নিঃশ্বাসের মূল কারণ।
গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৩২.৭ শতাংশ। নগদ অর্থহীন মিশরীয়রা এখন কিস্তিতে বিক্রির দিকে ঝুঁকছে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমার কাছে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ না থাকায় কিস্তিতে জিনিসপত্র কিনছি। দাম যেভাবে বাড়ছে, কিস্তিতে পণ্য কেনা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
অ্যাপ-ভিত্তিক সংস্থাগুলি কিস্তিতে পণ্য বিক্রি করে সাধারণ মিশরীয়দের জন্য আশীর্বাদ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। এরকম একটি প্রতিষ্ঠান হল সিম্পল, যেটি শুধু বিলাসিতা নয়, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য কিস্তির সুবিধা প্রদান করে।
সিম্পলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসমিন হেনা বলেন, মিশরীয় মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে সাধারণ মানুষের অসুবিধা বাড়ছে। তাই খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে সকল পণ্যে আমরা কিস্তির সুবিধা চালু করেছি। যেহেতু গ্রাহকদের কেনাকাটার পর সম্পূর্ণ অর্থ একসঙ্গে পরিশোধ করতে হচ্ছে না, তাই আমাদের অ্যাপও জনপ্রিয় হচ্ছে।
বছরের ব্যবধানে, মিশরের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ১৬.৫ শতাংশ কমেছে। বর্তমানে দেশে রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৪০০ বিলিয়ন ডলার। আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সরকার দেউলিয়া হওয়া ঠেকাতে আইএমএফের সাথে ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি করেছে। চুক্তির আওতায় সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণের দিকে এগোচ্ছে কায়রো।
প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবোলি ইতিমধ্যেই দেশের বৃহত্তম ব্যাংক অফ কায়রো সহ ৩২টি প্রতিষ্ঠান বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন।
আইএমএফ থেকে অর্থ পাওয়ার আগে দুঃসংবাদ পেল মিশরের মানুষ। সৌদি আরব ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের মিত্ররা মিশরকে ১ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুরো অর্থ পরিশোধ থেকে পিছিয়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
এসআই