
অনিশ্চয়তায় তুর্কিয়ে-সিরিয়ার মানুষ

তুর্কিয়েতে ভূমিকম্পে গৃহহীন মানুষ
০৬ মার্চ ২০২৩, ১৮:২৬
তুর্কিয়ে, এখন টিভি
তুর্কিয়ে ও সিরিয়ায় স্বরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের এক মাসেও থামেনি স্বজনহারা ও গৃহহীন মানুষের আর্তনাদ। সবচেয়ে বেশি হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার তুর্কিয়ের ১১টি প্রদেশের বাসিন্দাদের দুঃখ-দুর্দশাই এখন নিত্য সঙ্গী। শীতের মধ্যে তাঁবু তলের আশ্রয় বাড়িয়েছে কষ্টের মাত্রা। স্বাস্থ্য ঝুঁকিও প্রকোট। অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত মানুষ।
ভূমিকম্পে তুর্কিয়ের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি ডলার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ক্ষয়ক্ষতি পুনর্গঠনে প্রায় ২শ' কোটি ডলারের সহায়তাও দিচ্ছে সংস্থাটি। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ কোটি ডলার মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে দেশটির সরকার।
সহায়তা দিয়ে ভূমিকম্পের ক্ষত সামলে ওঠা সম্ভব না বলে মনে করছেন অনেকই। কারণ প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের প্রতিশ্রুতি দেয়া ঘর-বাড়ি নির্মাণেই ব্যয় হবে কারি কারি অর্থ। এর মধ্যে একের পর এক নতুন ভূমিকম্পন পূনর্বাসন প্রক্রিয়াকে ফেলেছে বড় চ্যালেঞ্জে।
ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন খাতে। তার প্রমাণ ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলের গ্র্যান্ড বাজার। যেখানকার দোকানগুলোতে এই সময়টায় পা ফেলার জায়গা থাকতো না, সেখানে অনেকটাই ক্রেতাশূন্য সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাই ভূমিকম্প পরবর্তী অর্থনীতি উন্নয়নে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করেন তারা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের ব্যবসায়ের অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। কারন ভূমিকম্পের অতঙ্কে পর্যটকরা আসছেন না। এখানো মেক্সিকো, কলম্বিয়াসহ ল্যাটিন ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি।
দুর্যোগ পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। ক্ষমতায় টিকে থাকার মেয়াদ টানা তিন দশকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য তার।
ইতিহাস বলছে, ১৯৯৯ সালে তুর্কিয়ের ভূমিকম্প পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতা হারান তখনকার ক্ষমতাসীনরা। এবারও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তার ভবিষ্যৎ কী হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। অর্থনীতি সুরক্ষিত করতে পারলেই পথ চলা সহজ হবে তার।
এফএইচ