
ইন্দোনেশিয়ায় জ্বালানির গুদামে আগুন, নিহত ১৭
এখনটিভি ডেস্ক, এখন টিভি
০৪ মার্চ ২০২৩, ১৭:২০
ইন্দোনেশিয়ায় জ্বালানি তেলের গুদামে ভয়াবহ আগুনে প্রাণ গেছে দুই শিশুসহ কমপক্ষে ১৭ জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অর্ধশতাধিক। ৫২টি ফায়ার ইঞ্জিনসহ আড়াইশো দমকল কর্মীর ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনেন আগুন।
রাজধানী জাকার্তার প্লামপাং জ্বালানি তেলের গুদামে আগুন লাগে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে। তেলের পাইপলাইন থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের বাসাবাড়িতেও। আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাটির বাসিন্দারা।
জাকার্তা আশ্রয়কেন্দ্রের প্রধান মোহাম্মদ ফয়সাল তুহুলিলি বলেন, প্রথম ধাপেই ৭৬টি পরিবারের ৩২০ জন সদস্যকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে ফেলি আমরা। এ সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগুন পুরোপুরি নিভাতে শনিবার সকাল হয়ে যায়। ৫২টি ফায়ার ইঞ্জিন নিয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ২৬০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা পার্তামিনার মালিকানাধীন এই প্লামপাং গুদামটি। এটি তিন লাখ কিলোলিটার তেল ধারণক্ষমতাসম্পন্ন। ফলে আগুনের ব্যাপকতাও ছিল ব্য স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টি থামার পর, আগুন লাগার আগে প্রায় আধ ঘণ্টা তেলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো এলাকায়।
স্থানীয়রা আরো জানান, শুরুতে আগুন ছিল না। কিন্তু গ্যাসের গন্ধ এতো তীব্র ছিল যে মানুষজন দৌড়ে পালাতে শুরু করে। তারপরই হঠাৎ বিশাল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে সবদিক, এরপরই দেখি আগুন।
ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অগ্নিদগ্ধ মানুষের চিকিৎসা খরচও সরকার বহন করছে বলে জানিয়েছেন জাকার্তা গভর্নর। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে চলছে অনুসন্ধান।
ইন্দোনেশিয়ায় চাহিদার ২৫ শতাংশ জ্বালানি তেল সরবরাহ হয় এই গুদাম থেকে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে তেল সরবরাহে যেন কোনো প্রভাব না পড়ে, তা নিশ্চিতে কাজ করছে প্রশাসন।
এফএইচ