Ekhon TV :: এখন টিভি

কক্সবাজার উপকূলে বেড়েছে ডলফিনের বিচরণ। মানুষের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন এই সামুদ্রিক প্রাণি ঘিরে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য ডলফিনের আবাসস্থল চিহ্নিত করা ও সংরক্ষণের তাগিদ সমুদ্র বিজ্ঞানীদের।

কক্সবাজার উপকূলে দেখা যায়, সমুদ্রের নীল জলরাশিতে আপন মনে খেলা করছে একদল ডলফিন।

কক্সবাজারের সোনাদিয়া ও পেঁচারদ্বীপ উপকূলে প্রায়ই দেখা মিলছে ইরাবতি ও স্পিনার জাতের ডলফিনের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বছর কয়েক আগেও দৃশ্যত হারিয়ে যেতে বসা এই সামুদ্রিক প্রাণিটির অবাধ বিচরণে অভিভূত স্থানীয়রা।

বঙ্গোপসাগরে ডলফিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলে এদের বিচরণ বেড়েছে বলে মনে করেন সমুদ্র বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, ‘স্তন্যপায়ী প্রাণীটির বাস্তুতন্ত্র ও আবাসস্থল নিয়ে একটি বিস্তৃত গবেষণা প্রয়োজন।’

ডলফিনের প্রকৃত আবাসস্থলে গিয়ে তাদের বিচরণক্ষেত্র দেখা ও তাদের সঙ্গে খেলা করা এখন পর্যটনের অন্যতম খাত হিসেবে বিবেচনা হয়। তাই ডলফিন সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশের পর্যটনে নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে পারে বলে মনে করছে গবেষকরা।

তবে মাঝে মধ্যেই সমুদ্র অর্থনীতিতে আশা জাগানো এই ডলফিনের মরদেহ ভেসে আসে উপকূলে। যার অধিকাংশেরই মৃত্যু হয় জেলেদের জালে আটকা পড়ে। সবশেষ গেলো পহেলা ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার শফিরবিল সৈকতে ভেসে আসে ইরাবতি প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন।

সাম্প্রতি এক জরিপে বঙ্গোপসাগরে সাত প্রজাতির অন্তত ১৬ হাজার ডলফিন শনাক্ত হয়। যার মধ্যে প্রায় ৬ হাজারই ইরাবতি প্রজাতির। আর বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইরাবতি ডলফিনের দেখা মেলে বাংলাদেশে।

আকন

Advertisement
Advertisement
Advertisement