
তলিয়ে যাচ্ছে ফ্রান্সের সমুদ্র উপকূল
আমিনা লুসি , এখন টিভি
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:০৬
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বাড়ছে দিন দিন। তলিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের উপকূল। তারই একটি ফ্রান্সের সুলাক সুর মার সৈকত এলাকা। এতে সেখানকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ভাঙছে শহর কর্তৃপক্ষ।
ফ্রান্সের আটলান্টিক উপকূলরেখায় ষাটের দশকের শেষভাগে তৈরি হয়েছিল সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা। তখন সৈকতের অবস্থান ছিল দুইশ মিটারেরও বেশি দূরে। কিন্ত সময়ের ব্যবধানে পানি বাড়তে বাড়তে এখন আবাসিক ভবনের খুব কাছে।
চারতলা উঁচু এই অবকাশযাপনকেন্দ্র ছিল পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় জায়গা। যেখান থেকে সাগরের দীর্ঘ সৈকত ও পাইন বনের দৃশ্য উপভোগ করতে পারতেন পর্যটকরা।
গত কয়েক দশক ধরেই দেখা যাচ্ছে প্রতি বছর প্রায় আড়াই মিটার হারে সমুদ্র সৈকত হারিয়ে যাচ্ছে পানিতে নিচে। এমনকি কখনও কখনও ছয় থেকে সাত মিটার পর্যন্ত। ২০১৪ সালেই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখানকার ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আর হালে এসে ভাঙা শুরু হয়েছে ভবন।
স্থানীয়রা বলেন, ‘এটি সুলাক-সুর-মার একটি স্মৃতিস্তম্ভ হারিয়ে যাওয়া। এটি আমাদের অংশ ছিল। সমুদ্রের সাথে এইভাবে এটা বিলীন হতে বাধ্য। এটা সত্যিই কিছুটা দুঃখজনক। সুলাক পরিবর্তন হচ্ছে, এই জিনিসগুলোকে আমরা সেভাবে রাখতে পারিনি। এটি আমাদের সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নকে আঙূল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে আমরা এমন ক্ষতি দেখতে পাচ্ছি ‘
ফরাসি উপকূল সুরক্ষা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন অনেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা বুঝতে পারছেন, যেটা নিয়ে আগে নগর পরিকল্পনাবিদরা খুব কমই গুরুত্ব দিয়েছেন।’
ফরাসি উপকূল সুরক্ষা সংস্থা প্রধান অ্যাড্রিয়েন প্রাইভেট বলেন, ‘উপকূলে যা ঘটছে তা থেকেই বোঝা যায় ফ্রান্সে কী ঘটছে আর উপকূলরেখাগুলোতেও কী ঘটবে। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে উপকূলে মানুষ বাড়তে থাকার কারণে এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং ঝড়ের হুমকির মুখে পড়ে।’
সারা বিশ্বে উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকিতে আছে প্রায় ৫০ হাজার আবাসস্থল, যেগুলো সরিয়ে নিতে হবে এই শতাব্দীর শেষ হবার আগেই।
আকন