Ekhon TV :: এখন টিভি

ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষ, মাসে আয় লাখ টাকা

ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষ, মাসে আয় লাখ টাকা

বীজ রোপণের ৪০ দিনের মধ্যে মাশরুম সংগ্রহ শুরু হয়

১০ মার্চ ২০২৩, ১২:০০

আব্বাস আলী , এখন টিভি

ইউটিউবে ভিডিও দেখে মাশরুম চাষ করে সফল নওগাঁর সাগর আলী। এক বছরে সবজি বিক্রেতা থেকে বনে গেছেন সফল খামারি। তাকে দেখে মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকারি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এলাকার বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি গতিশীল হবে স্থানীয় অর্থনীতি।

সাগর আলীর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নের বেনীফতেপুর গ্রামে। লেখাপড়া করেছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। আবাদি জমি না থাকায় প্রায় ১২ বছর ধরে করতেন সবজি বিক্রি। এই দিয়েই চলতো সংসার।

কিন্তু, করোনা মহামারিতে ব্যবসায় যখন মন্দাভাব, তখন চিন্তা করেন নতুন কিছু করার। ইউটিউবে মাশরুম চাষের ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হন। ২০২২ সালে মাগুরা জেলার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নেন ৪ দিনের প্রশিক্ষণ। সেখান থেকেই সংগ্রহ করেন বীজ বা স্পন। প্রায় ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪ মাসে লাভ করেন ৭০ হাজার টাকা।

পরিশ্রম আর খরচের তুলনায় ভালো লাভ হওয়ায় এবছর বাড়ির পাশের জমিতে শুরু করেন মাশরুম চাষ। ৩০০ স্পনের প্যাকেট ও খামার তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। বীজ রোপণের ৪০ দিনের মধ্যে মাশরুম সংগ্রহ শুরু হয়। এ সময় প্রতিদিন কয়েকবার পানি স্প্রে করতে হয়। এখন শুরু হয়েছে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ কেজি মাশরুম সংগ্রহ। সময়ের সাথে সাথে যা আরো বাড়বে।

৫ কেজি ওজনের প্রতিটি প্যাকেটের বীজ, খড়কুটা ও কীটনাশকে খরচ পড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। যেখান থেকে ৩ মাসে সংগ্রহ করা যাবে চার থেকে সাড়ে ৪ কেজি। এগুলো পাইকারিতে আড়াইশ আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে তিনশ' টাকায়। সে হিসেবে তিনশ' প্যাকেট থেকে আগামী তিন মাসে প্রায় ১২শ' কেজি মাশরুম সংগ্রহ করবেন। এর বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা।

সাগর আলী বলেন, গাছ তৈরির পেছনে খরচ হয়েছে আট হাজার টাকা আর ঘরের পেছনে খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। যেভাবে মাশরুম উঠছে তাতে আমি এক লক্ষ টাকার উপরে বিক্রি করতে পারবো।

সাগর আলীর সফলতার কথা শুনে প্রতিদিন অনেকেই আসছেন তার খামারে। কেউ কিনছেন মাশরুম, কেউবা চাইছেন খামার করার পরামর্শ।

মাশরুম একটি পুষ্টিকর সুস্বাদু ও ঔষধি গুণসম্পন্ন খাবার। বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও ভালো। তাই মাশরুম চাষে আগ্রহীদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন নওগাঁ সদরের কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা নাজনীন।

তিনি বলেন, উপজেলা অফিস থেকে আমরা মাশরুম চাষ সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করে থাকি। কেউ যদি আগ্রহী হন তাকে আমরা সহায়তা করে থাকি।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশিক্ষণ পেলে মাশরুম চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি এলাকার অর্থনীতি ব্যাপক অবদান রাখা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এমএস

Advertisement
Advertisement
Advertisement