Ekhon TV :: এখন টিভি

পাহাড় ও সমতল ভূমিতে বিস্তৃত নেত্রকোণা। উত্তর সীমান্তবর্তী দুই উপজেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য পাহাড়ে গারোর বসবাস।পাশাপাশি রয়েছে হাজংসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বাসিন্দা।

এ সম্প্রদায়ের নারীরা কৃষিকাজ ও গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত থাকে। তবে এখন বিভিন্ন ব্যবসায় নিজেদের দেখা যাচ্ছে।

কিয়া সাংমা দীর্ঘদিন রাজধানীর একটি পার্লারে কাজ করেছেন। করোনার সময় তিনি নিজ গ্রামে ফিরে এসে খাবারের দোকান দেন। দোকানে বাহারি পিঠা, নুডুলস, কেক এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরণের রয়েছে। যেখানে তিনি মাসে দেড় লাখ টাকা আয় করছেন।

কিয়া সাংমা জানান, করোনার সময় তিনি রাজধানীর দোকান ছেড়েছিলেন। সে কিছু রান্না করতে পারে বলে গ্রামে ফিরে খাবারের দোকান চালাতো। তবে তা ভালো চলছে।

অন্যদিকে মারিয়া বুটিকস নামের আরেকটি দোকান পরিচালনা করছেন উজ্জ্বলা রাংসা। নিজেই সেলাই করে তৈরি করছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন পোশাক। যেসব পোশাক বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০ হাজার টাকা ।

উজ্জ্বলা রাংসা বলেন, একজন নারী হিসেবে ১৩ বছর যাবত দোকানটি পরিচালনা করছি। আমার পরিবারকে যতটুকু সম্ভব সহয়তা করছি। 

এই মান্তের অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা ব্যবসা স্থাপনে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিসিক শিল্পনগরীর পোশাক কারখানায় প্রায় ৭০ জন নারী শ্রমিক কাজ করেন।

স্থানীয়রা বলছেন, নারীদের ব্যবসা সম্প্রসারণের ফলে সমাজে বৈষম্য অনেক কমে গেছে। আগে নারীরা শুধু ঘরে ঘরে কাজ করলেও এখন অনেকেই ছোট ছোট ব্যবসা করছেন।

জেলা প্রশাসন বলছেন, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সেইসাথে স্বল্প সুদে করা হচ্ছে ঋণের ব্যবস্থাও।

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস বলেন, নারীদের জন্য প্রতি মাসে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প রয়েছে এবং সেখানে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর সেসব বিবেচনায় কম সুদে ঋণ দেওয়া হয়।

নেত্রকোণার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় প্রায় ছয় লাখ মানুষের বসবাস। এরমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর।

এসআই

Advertisement
Advertisement
Advertisement