
যেভাবে বিশ্বকে দেখায় হলিউড

মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়াকে ভিন্নভাবে দেখে ও দেখায় হলিউড
০৯ মে ২০২৩, ১৮:৫২
মো. ইমরান , এখন টিভি
যদি প্রশ্ন করা হয়, হলিউডের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে কেমন দেখায়? চাকচিক্য ও গ্ল্যামারেপূর্ণ লাসভেগাস, নিউইয়র্ক কিংবা ক্যালিফোর্নিয়া, বড়-বড় রাস্তা, আকাশ ছোয়া ইমারত, তাই নয় কি? এই হলিউডের লেন্সেই মধ্যপ্রাচ্য, ভারতীয় উপমহাদেশ দেখতে কেমন? সিনেমার রঙ, গল্প, চরিত্র বলতে গেলে সিনেমার ভাষাই পাল্টে যায় হলিউডি চলচ্চিত্র।
হলিউডের বাণিজ্যিক ধারার সিনেমাগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে যেভাবে উপস্থাপন করে তাতে রাতের নিউইয়র্ক, লস এঞ্জেলেস দেখলে মনেই হবে না যে এখানেও অর্থনৈতিক, সামাজিক বা চিকিৎসার দিক থেকে কোনো সমস্যা থাকতে পারে। সেই হলিউডেই যখন মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, বাংলাদেশ বা কোনো তৃতীয় বিশ্বের সামাজিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে সিনেমা নির্মাণ করে তখন এর রূপ একেবারেই পাল্টে যায়। হলিউডের সিনেমায় যেমন থাকে চাকচিক্য আর গ্ল্যামার পক্ষান্তরে এসব দেশের দৃশ্যে থাকে না এর কোনো ছোঁয়া।
হলিউড সিনেমায় মেক্সিকোর দৃশ্য দেখাতে হালকা সোনালী রঙ ব্যবহার করেন পরিচালকরা। বিখ্যাত সিনেমা নির্মাতা মার্টিন স্করসিজি এটিকে নারকোটিক কালার বলে আখ্যা দিয়েছেন। মাদকদ্রব্য ও অপরাধ বোঝাতে হলিউড সিনেমায় মেক্সিকোকে এই বিশেষভাবে দেখানো হয়। এনিয়ে বাণিজ্যিক ধারার সিনেমাগুলো ব্যাপক সমালোচনারও শিকার হয়েছে।
২০২০ এ মুক্তিপায় 'এক্সট্রাকশন' সিনেমা। এই সিনেমার প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ। এখানে সিনেমাতে শুধু রঙের মাধ্যমেই নয় গোটা চলচ্চিত্রের ভাষাতে ঢাকাকে দেখানো হয়েছে ভিন্নরূপে। অপরাধ আর মাফিয়াদের নগরী ঢাকা, দেশের আইনশৃঙ্খলা অপরাধ দমনে ব্যর্থ এমনটা দেখানো হয়েছে এই সিনেমায়। ২০০৮ সালে অস্কারজয়ী 'স্লামডগ' মিলিয়েনিয়র সিনেমাতেও গল্প বলার দৃশ্যগত ভিন্নতা দেখা যায়। মুম্বাই শহরের বস্তি, অপরাধজগত, মাদক এসবই ফুটে ওঠেছে সিনেমায়।
সুপারহিরো সিনেমাগুলোতে পৃথিবীর যেকোনো ধরনের দুর্যোগ আমেরিকাতেই আসে বলে হলিউড সিনেমার নির্মাণশৈলির সমালোচনা করেন ভারতের চলচ্চিত্র সমালোচক রাজীব মাসান্দ।
সময়ের সাথে সবকিছুতেই পরিবর্তন আসছে। এই পরিবর্তনের ছোয়া সিনেমাতেও লক্ষ্য করা যা্য়। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্রগুলো এবিষয়ে দিনদিন আরো সতর্ক ও সংবেদনশীল হচ্ছে। দর্শক ও ভক্তদের আশা হলিউড সিনেমাও তাদের গতানুগতিক নির্মাণশৈলী থেকে বেড়িয়ে আসবে।
আইকে