Ekhon TV :: এখন টিভি

হলিউডের মিষ্টি মেয়ে অড্রে হেপবার্ন

হলিউডের মিষ্টি মেয়ে অড্রে হেপবার্ন

হলিউডের স্টাইল আইকন অড্রে হেপবার্ন

০৯ মে ২০২৩, ১৮:২৮

মো. ইমরান , এখন টিভি

সিনডেরেলা, স্নো হোয়াইট, এলসা এরা সবাই ওয়াল ডিজনির তৈরি অ্যানিমেশন ক্যারেক্টার। জনপ্রিয় এসব চরিত্র দাগ কেটে আছে বিশ্বজুড়ে ভক্তদের হৃদয়ে। ডিজনির এই রাজকুমারীরা যদি বাস্তবে থাকতেন তাহলে দেখতে তার মতোই হতেন, ভক্তরা এমনটাই বলে অড্রে হেপবার্নকে নিয়ে। হলিউডের সাদাকালো যুগের এই অভিনেত্রী অভিনয় দিয়ে যেমন মন জয় করেছেন ঠিক তেমনি পর্দার বাইরেও সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখে, হয়ে আছেন স্মরণীয়। 

বাড়ি থেকে পালানো রাজকুমারী ঘুরে বেড়ালেন পুরো রোম শহর। তার সঙ্গে গোটা শহর ঘুরলো দর্শকরাও। তার হাসি ও মায়াবী চোখের চাহনীতে মুগ্ধ হয়েছে ইউরোপ থেকে এশিয়ার কোটি-কোটি মানুষ। বলছি রোমান হলিডে সিনেমার প্রিন্সেস আন তথা অড্রে হেপবার্নের কথা। 

চার মে ১৯২৯ সালে বেলজিয়ামের শহর ব্রাসেলসে অড্রে ক্যাথলিন রুস্টনের জন্ম। সবার মাঝে তিনি অড্রে হেপবার্ন নামে পরিচিত। অনেক চড়াই-উৎড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে কাটে অড্রের শৈশব। প্রথমে ইংল্যান্ড এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেদারল্যান্ডসে থাকেন তিনি। নাজিদের থেকে রক্ষা পেতে নাম পাল্টে রাখেন এডা ভন হিমস্ত্রা কেননা অড্রে হেপবার্ন নামটি ব্রিটিশ আর ব্রিটিশরা ছিল নাজিদের প্রতিপক্ষ। 

যুদ্ধের পর মাকে নিয়ে অ্যামস্টার্ডাম চলে আসেন অড্রে। সেখানে পাশ্চাত্য নাচ ‘বেলের’ প্রশিক্ষণ নেন তিনি। তারপর লন্ডনে ফিরে মডেলিং ও অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন। শুরুতে থিয়েটার ও বিভিন্ন ছোট-ছোট চরিত্রে অভিনয় করলেও বড় পর্দায় মূলচরিত্রে অভিনয়ের যাত্রা শুরু রোমান হলিডে দিয়ে। ১৯৫৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে তারকা খ্যাতি অর্জন করেন অড্রে হেপবার্ন। এই সিনেমায় অভিনেতা গ্রেগরি পেক ও তার রসায়ন রোমান্টিক ধারার সিনেমায় অদ্বিতীয়। 

রোমান হলিডে ছাড়াও ব্রেকফাস্ট এট টিফানি, ওয়ার অ্যান্ড পিস, সাবরিনা ও মাই ফেয়ার লেডিসহ অসংখ্য হিট সিনেমা আছে তার ঝুলিতে। 

১৯৫০ ও ৬০ দশকে স্টাইল আইকন ছিলেন অড্রে। তার হেয়ারকাট আর পোশাকের ধরনে হলিউড তো মুগ্ধ ছিলই্ এই স্টাইলের নকল করেছে বলিউডও।  

ক্যারিয়ার জুড়ে অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেন অড্রে হেপবার্ন। সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জয় করেন রোমান হলিডের জন্য। এছাড়া বাফটা ও গোল্ডেন গ্লোবও লাভ করেন এই অভিনেত্রী। ২০১৫ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ‘গ্রেটেস্ট স্ক্রিন লেজেন্ড’ অর্থাৎ বড় পর্দার সেরা কিংবদন্তীর তালিকায় তৃতীয় হন তিনি। 

বড় পর্দার এই অভিনেত্রী বাস্তব জীবনে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কাজ করে গেছেন। তাদের শিক্ষা চিকিৎসা, বাসাস্থানের জন্য কাজ করেছেন তিনি। ইউনিসেফের গুডইউল এম্বাসেডরও হয়েছিলেন অড্রে হেপবার্ন। 

১৯৯২ সালের অস্কারে সিনেমার প্রতি অবদানের জন্য সত্যজিৎ রায় যে অস্কার পেয়েছিলেন তার ঘোষণা করেন অড্রে হেপবার্ন। দীর্ঘদিন কোলোন ক্যান্সারে ভুগে ১৯৯৩ সালের জানুয়ারির ২০ তারিখে মারা যান এই অভিনেত্রী।

 

আইকে

Advertisement
Advertisement
Advertisement

এই সপ্তাহের সর্বাধিক পঠিত গুরুত্বপূর্ণ এখন আনন্দ খবর