
হাজার কোটি ক্লাবে যেসব সিনেমা

১০০০ কোটিরও বেশি আয় করে এসব সিনেমা
০৭ মার্চ ২০২৩, ১২:৩১
মো. ইমরান , এখন টিভি
একটা সময় ছিল যখন সিনেমার সফলতা বিচার হতো সেটি কয় সপ্তাহ প্রেক্ষাগৃহে চলেছে তার ওপর। সময়ের সাথে সবকিছুর হিসেব পাল্টায়। এটিও পাল্টেছে। এখন কোন সিনেমা কত শত কোটি রুপি ঘরে তুললো এর ওপর নির্ভর করে এর সফলতা। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবসা সফল সিনেমা ৫টি। এই সিনেমাগুলোর আয় ছাড়িয়েছে হাজারকোটির মাইলফলক।
বছরে ২ হাজারের মতো সিনেমা মুক্তি পায় ভারতে। এরমধ্যে খুব অল্প সংখ্যক হয় বক্স অফিস হিট। এই বক্স অফিস হিটের তালিকাতেও থাকে নানান হিসেব। কোনো সিনেমা আয় করে শত কোটি রুপি আবার কোনোটা ২০ কোটিও ছাড়াতে পারে না। হিন্দি ফিল্মের ইতিহাসে প্রথম ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করে আমির খানের গজনী। ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ৬৫ কোটি রুপি বাজেটের সিনেমার আয় তখন ২৩২ কোটি রুপি।
বর্তমানে এই আয় শতকোটিতেই সীমাবদ্ধ নেই। বক্সঅফিসে এসেছে নতুন মাইলফলক হাজার কোটির ক্লাব। সুপারস্টারদের সিনেমা মানেই শতকোটি ছাড়াবে এটাই স্বাভাবিক। তাই এই হিসাব হয় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক এই দুই বিভাগে। অঞ্চলের মধ্যেও থাকে বিভিন্ন ভাগ।
বিশ্বব্যাপী প্রথম হাজার কোটি রুপির ক্লাবে প্রবেশ করা ভারতীয় সিনেমা বাহুবালি টু। ২০১৭ সালে মুক্তি পেয়ে সিনেমাটি আয় করে ১ হাজার ৮ শ কোটি রুপির বেশি।
হাজার কোটি রুপির তালিকায় এখন পর্যন্ত ৫টি সিনেমা প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে হিন্দি ভাষার প্রথম সিনেমা দাঙ্গাল। ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমা বিশ্বব্যাপী আয় করে ২ হাজার কোটিরও বেশি। শুধু চায়না থেকেই সিনেমাটি ঘরে তুলে ১৩ শ কোটি রুপি। এ তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে যথাক্রমে বাহুবালি টু, কেজিএফ চ্যাপ্টার টু ও আর আর আর। সিনেমাগুলোর আয় যথাক্রমে ১ হাজার ৮১০, ১হাজার ২০৭ ও ১ হাজার ২০২ কোটি রুপি। এ লিকায় হালের সংযোজন কিং খানের পাঠান। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি এখন পর্যন্ত আয় করে ১০৩১ কোটি রুপি।
বিশ্বব্যাপী দাঙ্গাল ১ নম্বরে থাকলেও শুধু ভারতে এর অবস্থান ৫ম। এই তালিকায় ১ হাজার ৩৫৩ কোটি রুপি নিয়ে প্রথমে বাহুবালি টু। ১ হাজার ৬ কোটি নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে কেজিএফ চ্যাপ্টার টু। অপরদিকে ৯২২ রুপি ঘরে তুলে তৃতীয় অবস্থানে রাজামৌলির আর আর আর। ৩৩ দিনে ৬৩৭ কোটি আয় করে চতুর্থ শাহরুখের পাঠান।
হাজার কোটি আয়ের এই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে তামিল, তেলেগু ও কন্নড় ভাষার সিনেমা। একদিকে একের পর এক হিন্দি সিনেমা যখন ফ্লপ হয় তখন সর্বাধিক আয় করে ভিন্ন ভাষার সিনেমাগুলো। তবে হালের পাঠানের সাফল্যে কিছুটা হলেও সম্মান ফিরে পেল বলিউড।
আইকে