
মুরগির বাজারে উত্তাপ, রমজানে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার আশা মন্ত্রীর
মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান
বেলায়েত হোসাইন , এখন টিভি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:২১
বাজারের নাভিশ্বাস যেনো থামছেই না। হু হু করে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কিছুর দাম। নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত অনেক ক্রেতাই এখন দাম শুনে বাজার থেকে ফিরছেন খালি হাতে। হঠাৎ করেই পোল্ট্রির বাজারেও আগুন। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা। আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা দরে।
মুরগির দাম যখন বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে, তখন সাধারণ মানুষ ডিম কিনে যেনো সান্ত্বনা খুঁজছেন। কিন্তু তাতেও স্বস্তি নেই। এবার মুরগির উত্তাপে ডিমের দামও নাগালের বাইরে।
দেশের পোল্ট্রি বাজারের এই আকাশ ছোঁয়া দামের কারণ জানতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আর বিশ্বজুড়ে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায়- মুরগির খাবার আমদানিতে নানা প্রতিকূলতা, তাই এভাবেই বাড়ছে দাম।
পোল্ট্রির এই দামবৃদ্ধি স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক- এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিলেও মুরগির দামকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পোল্ট্রি এসোয়িশনের প্রতি আহবান জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আমি পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনসহ সবাইকে অনুরোধ করবো যাতে কম লাভ করে বিক্রি করে, যাতে সকলে এই খাবারগুলো খেতে পারে।
রমজানের বাকি আর এক মাসও নেই। দামবৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতায় রোজার মাসের বাজারের পরিস্থিতি কি হবে? যখন- দুধ, ডিম, মাছ-মাংসের চাহিদা থাকবে তুঙ্গে।
রোজার মাসে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের সাথে বাজার তদারকির কথা জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমরা আশা করি, রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম কোনোভাবেই বাড়বে না। বরং সহনশীলতার মধ্যে যাতে রাখা যায় সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা রয়েছি।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে মৎস ও প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সেখানে নানা জাতের পশু ও পোষা পাখির প্রদর্শন করা হচ্ছে, যা চলবে সপ্তাহজুড়ে।
আরএন