Ekhon TV :: এখন টিভি

স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো ইউনিয়ন পরিষদ। নাগরিক ও মৃত্যু সনদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে প্রতিনিয়ত পা রাখতে হয় ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায়।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের স্থানীয় সরকারের প্রাচীন এই সেক্টরে লেগেছে স্মার্ট বাংলাদেশের ছোঁয়া। স্থানীয়রা এখন ঘরে বসেই নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশান সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ভূমিহীন সনদ, বার্ষিক আয়ের প্রত্যয়ন, অবিবাহিত সনদসহ ১৭ ধরণের সেবা নিতে পারছেন অনলাইনের মাধ্যমেই। আর ফি লেনদেন হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।

সেবাদাতারা জানান, সেবাগ্রহীতারা নিজেরাই বিকাশ কিংবা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করে অনলাইনে আবেদন পারছেন, আমরা অনলাইনে আবেদনটা পেলে তাকে আমরা অনলাইনে দিয়ে দিতে পারি। 

তারা বলেন, আগে পাঁচ-দশ মাইল দূর থেকে এসে একটা কাগজ নিতে হতো এতে মানুষের অনেক টাকা ব্যয় হতো। এথন সিস্টেম চালু হওয়ার ফলে জনগণের অনেক ভোগান্তি কমে গেছে। 

ওয়েবসাইটে সহজেই মিলছে সব ধরনের সেবা। তেঁতুলিয়া উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে প্রথম ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার সাথে যোগ হয় নগদ লেনদেনের পরিবর্তে অনলাইনে লেনদেন। এখন জেলার পাঁচ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নের নাগরিকরা পাচ্ছেন তথ্য প্রযুক্তির এই সুবিধা।

ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলতে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে না স্থানীয়দের। ঘরে বসে করা যাচ্ছে আবেদন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা পৌঁছে যাচ্ছে মেইলের মাধ্যমে।

সেবাগ্রহীতারা বলছেন, আগের মতো এখন আর একটা কাগজ নেওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। আমাদের নিজেদের মতো করে এখন যেকোনো আবেদন আমরা ঘরে বসে করতে পারছি। 

ভোগান্তি কমিয়ে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ বলছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র তেতুলিয়া উপজেলায় নয় বরং পঞ্চগড় জেলার ৪৩ টি ইউনিয়নে এবং তিনটি পৌরসভায় একযোগে এই ডিজিটাল সেবা সিস্টেম এবং ক্যাশলেস সেবা সিস্টেম টি চালু হয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে যা প্রথম জেলা হিসেবে শতভাগ এই সেবাটি চালু হয়েছে। 

জেলার ৪৩ টি ইউনিয়নের পর এখন ৩টি পৌরসভাতেও ডিজিটাল ক্যাশলেস সেবা কার্যক্রম চালুর কাজ চলছে বলছেন, জেলা প্রশাসক। একইসাথে কিউআর কোর্ড থাকায় সনদগুলো নকল করার সুযোগ থাকছে না বলেও জানান তিনি।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, এখানে ক্যাশলেস আমরা বলছি এই কারণে যে এখানে আপনাকে সরাসরি মানে হ্যান্ড টু হ্যান্ড টাকা দিতে হচ্ছে না। আমরা এই সফটওয়্যারটা জেলাপ্রশাস কতৃক তৈরি করেছি এখন এটা আমাদের পঞ্চগড়ের প্রতিটা ইউনিয়নে চলছে এবং জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। 

ডিজিটাল ক্যাশলেস সেবার মাধ্যমে প্রতি মাসে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ সেবা নিতে পারবেন।

এফএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement