
বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় দৃষ্টিনন্দন পাহাড়ি সড়ক
বান্দরবান প্রতিনিধি, এখন টিভি
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪৫
বান্দরবানের আলীকদমের সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকা করুকপাতা। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষিসহ যেকোন খাতেই পিছিয়ে থাকা এক জনপদ। এখানকার মানুষ যে কোন দরকারে বরাবরের মতোই নির্ভরশীল উপজেলা সদরের ওপর। এক সময় পায়ে হেঁটে আর নৌকায় যাতায়াতই স্থানীয়দের কাছে ছিল ভরসা। বর্ষাকালে সেটাও ছিল অসম্ভব, করুকপাতা ইউনিয়ন আর উপজেলা সদরের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তো সব ধরনের যাতায়াত ব্যবস্থা। এছাড়া পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্য, ফসল বাজারজাত আর শিক্ষার্থীদের পড়তে হতো ভোগান্তিতে।
২০১৭ সালে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে শুরু হয় সড়ক নির্মাণ কাজ। যা এরই মধ্যে শেষ। এই সড়কের মাধ্যমে নৃ-গোষ্ঠীসহ পাহাড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমেছে। সহজ হয়েছে কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণ, যাতায়াত, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা। পাহাড়ি শিশুরা যুক্ত হচ্ছে মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থায়। জরুরি চিকিৎসা সেবাও এখন নাগালের মধ্যে। বাজারে বাড়ছে পাহাড়িদের তাঁত ও অন্যান্য হস্তশিল্পের পণ্য।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আলীকদম যেতে আগে দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন তিন থেকে চার ঘন্টায় আলীকদম পৌঁছে যেতে পারছেন তারা।
তারা বলেন, একজন অসুস্থ হলে আগে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেত সময় লাগত, রাস্তা ছিল না, এখন রাস্তা হওয়াতে আমরা অনেক উন্নয়ন পেয়েছি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কটি নির্মাণে স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বেড়েছে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা।
আলীকদম-জালানীপাড়া-করুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়ক নির্মাণ প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর মো. ইশরাকুল হক বলেন, সড়কটি নির্মাণের ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ এখানে পেট্রোলিন করার সুযোগ পাচ্ছে এবং বিভিন্ন অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সুবিধা পাচ্ছে ফলে এই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন হয়েছে।
৫শ' ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ধরে শুরু হয় আলীকদম-জালানী পাড়া-করুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়ক নির্মাণ কাজ। নির্ধারিত সময়ের আগেই ৩৫ কোটি টাকা কম খরচে ৪শ' ৭৪ কোটি টাকায় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের ১৬ ইসিবি সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করে।
এফএইচ