
পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিক থেকে তৈরি হচ্ছে জ্বালানি
দেশে বাড়ছে রিসাইক্লিং ব্যবসা
কাইয়ুম কবির, এখন টিভি
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:১৪
বিশ্বে তেলের বাজার যখন অস্থির ঠিক তখন স্বস্তির দেখা মিলছে পাইরোলাইসিস প্লান্টে। টায়ার আর ফেলে দেয়া প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে উৎপাদন হচ্ছে গ্রীন ওয়েল যা ফার্নেস ওয়েল, ডিজেল, পেট্রোল ও ব্ল্যাক কার্বণ।
সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব চাইনিজ প্রযুক্তি নির্ভর একটি প্লান্ট। ১০ টন নির্ভর এই প্লান্ট দেশের মাটিতে জায়গা করে নিয়েছে সম্প্রতি। প্লাস্টিক বোতল আর পরিত্যক্ত টায়ার পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। আর এই ক্ষতিকারক বস্তুই হল গ্রীণ ওয়েল উৎপাদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল।
চায়নায় দীর্ঘ পড়াশোনা শেষে পরিত্যক্ত কাঁচামালকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে কাজ করতে থাকে তরুণ উদ্যোক্তা নেহাল। একসময় বাইরের প্রযুক্তি ও দেশীয় গবেষকদের সাহায্যে গড়ে তোলেন টি এইচ টি রিসাইকেল। একটি ১০টন প্লান্ট যার মূল কাজ প্লাস্টিক থেকে গ্রীণ ওয়েল উৎপাদন করা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে আগে ফার্নেস ওয়েল ছিল, এখন এটা কিন্তু গ্রীন ওয়েল হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি পাচ্ছ। রিজিনেবল প্রাইস এর মধ্যে আমরা এটা পাচ্ছি যা আমাদের ডিজেলের চাহিদা কিছুটা হলেও কমাতে পারবে।
অন্যদিকে পাইরোলাইসিস প্লান্ট নিয়ে সাইমুন হাসনাত জানান কিভাবে এই প্লান্ট তেল উৎপাদন করতে পারে। তার সাথে কত কম বিনিয়োগে একটি প্লান্ট স্থাপন করা যায় আর কেমন লাভ হতে পারে।
তিনি বলেন, একটন বা দেড়টন ধারনক্ষমতা থেকে শুরু করতে চাইলে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার মধ্যে শুরু করা যাবে। ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কমপক্ষে দুই থেকে তিন লাখ টাকা লাভ করা যাবে।
দশটন একটি প্লান্ট প্রতিদিন ১০০০লিটার তেল উৎপাদন করে। যেখানে কাঁচামাল ও উৎপাদন বাবদ খরচ দাড়ায় লিটার প্রতি ৭০ টাকা। মাসে মোট উৎপাদন হয় ৩০০০০লিটার। মোট খরচ হয় ২১লাখ টাকা।
বর্তমানে দেশে দুইটি অটোমেটেড পাইরোলাইসিস প্লান্ট ছাড়াও ছোট ও মাঝারি আকারের প্রায় ১০৮টি প্লান্ট গড়ে উঠেছে।
প্লাস্টিক থেকে জ্বালানী উৎপাদনে ঝুঁকছে বিশ্ব। বর্তমানে এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে গড়ে উঠেছে এই প্লান্ট। এরমধ্যে চায়নায় ১৪০০টি , ভারতে ৬০০ টি,, বাংলাদেশে ১১০টি।
এফএইচ