
নড়াইলে লাখো প্রদীপ জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ

মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে বর্ণমালা, আলপনাসহ নানান ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:১৫
নড়াইল, এখন টিভি
‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে লাখো প্রদীপ (মোমবাতি) প্রজ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছে নড়াইলবাসী। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এই ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৫২ সালের ভাষা সৈনিকদের স্মরণ করা হয়। মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে বর্ণমালা, আলপনাসহ বাংলাদেশের নানান ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় ওড়ানো হয় অর্ধ শতাধিক ফানুস।
আয়োজকরা জানান, নড়াইল একুশ উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১৯৯৭ সালে নড়াইলে এই ব্যতিক্রমী আয়োজন শুরু হয়। প্রথমবার ১০ হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হলেও প্রতিবছর এর ব্যপ্তী বেড়েছে। এ বছর ৮ একর জায়গাজুড়ে এক লাখ মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। ওড়ানো হয় অর্ধ শতাধিক ফানুস। বিশাল এই আয়োজন দেখতে প্রতিবারের ন্যায় এবছরও দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এসে মোমবাতি প্রজ্বলন উপভোগ করে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কুড়ির ডোব মাঠের লাখো মোমবাতি একসাথে জ্বলে উঠে সেই সাথে ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এই গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গণসংগীত শুরু হয়। ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন হাজার হাজার দর্শক।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) সাদিরা খাতুন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান নিজামুদ্দিন খান নিলু, পৌরসভার মেয়র আনজুমান আরা, নড়াইল একুশের আলোর সদস্য সচিব ও নাট্য ব্যক্তিত্ব কচি খন্দকারসহ নড়াইলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
নড়াইল একুশের আলোর সদস্য সচিব ও নাট্য ব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার জানান, সকল কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দু’দিন ধরে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবী লাখো মোমবাতি দিয়ে সাজিয়ে তোলে পুরো মাঠ। (২১ ফেব্রুয়ারির) সন্ধ্যায় মোমবাতিগুলো প্রজ্বলন করে আলোকিত করা হয় নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের বিশাল মাঠ। প্রতি বছরের মত মোমবাতির আলোয় দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে চারিদিক।
প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারসহ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় করেন আয়োজকরা।
এমএস