Ekhon TV :: এখন টিভি

গত কয়েক মাসে কসমেটিক ও টয়লেট্রিজ সামগ্রীর সরবরাহ কমেছে, তেমনি দামও বেড়েছে ৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত মানুষ চাপে রয়েছে।

সুপার মার্কেটগুলোতে প্রসাধনী সামগ্রী পাওয়া গেলেও দাম আকাশছোঁয়া। ব্রান্ড ভেদে সাবানের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। দেশি কিংবা বিদেশি সব সাবানেই দর বেড়েছে কম বেশি। বেড়েছে শ্যাম্পুর দামও। আগে যার দর ছিলো ৩৫০ টাকা তা এখন ৫০০ টাকা। এমনকি মিনি প্যাকের দাম বেড়েছে দেড়গুণ।

বাজার চড়া ফেসওয়াশেরও। আগে যা ছিলো ২১০ টাকা, তা এখন বেড়ে ২৮০। ১৫০ টাকার ফেসওয়াশ কিনতে হচ্ছে ১৮৫ টাকায়। ক্রিম ও লোশনের দাম বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। আর সব ধরনের মেকআপ সামগ্রীর দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটে দেশের প্রসাধনী বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। এলসি জটিলতায় চাহিদা অনুযায়ী নতুন পণ্য আসছে না। আমদানি করা কসমেটিক পণ্যের দামও বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরেও ব্যবসায়ীদের এমন তথ্যের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে। ছোট-বড় কসমেটিকসের দোকানে ভিড় নেই। বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়লেও লাভ বাড়েনি।

শুধু মাত্র বিলাসি প্রসাধনী নয়, গত কয়েক মাসে ৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে সাবান, তেল, শ্যাম্পু এমনকি স্যানিটারী ন্যাপকিনের মতন অতি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

দেশের প্রসাধানীর বাজারে ক্রেতার অভাব হয় না খুব একটা। ৫০ বছরে এই বাজার ছাড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। এমন তথ্য, বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের। তারা বলছে, প্রসাধানীর ৬০ শতাংশই পূরণ করছে দেশে কোম্পানিগুলো। আর ৪০ শতাংশ আসছে আমদানির মাধ্যমে।

প্রসাধানীর মান নিয়ে এমন দুশিন্তায় আশার কথা এখন থেকে কসমেটিক ও টয়লেট্রিজ পণ্যের ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে হবে ঔষধ প্রশাসন থেকে। যার বাস্তবায়ন হলে কমতে পারে মানহীন প্রসাধনী সামগ্রী। তবে, এতে ক্রেতারা খুশি হলেও তাদের বড় চাওয়া দ্রুতই লাগাম আসুক প্রসাধনী সামগ্রীর দামে।

শুধু বিলাসবহুল প্রসাধনী নয়, সাবান, তেল, শ্যাম্পু এমনকি স্যানিটারি ন্যাপকিনের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও গত কয়েক মাসে ৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

দেশের প্রসাধনী বাজারে ক্রেতার অভাব নেই। ৫০ বছরে এই বাজার ৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছে, বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ আমদানিকারক সমিতি। তারা বলছেন, দেশের চাহিদার ৬০ শতাংশ কোম্পানিগুলো পূরণ করছে। আর ৪০ শতাংশ আসছে আমদানির মাধ্যমে।

প্রসাধনীর মান নিয়ে উদ্বেগের কারণে, আশা করা যায় যে এখন থেকে প্রসাধনী এবং প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসায় মেডিসিন প্রশাসনের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। যা বাস্তবায়ন হলে নিম্নমানের প্রসাধনী কমে যেতে পারে। তবে ক্রেতারা এতে খুশি হলেও তাদের বড় চাহিদা অচিরেই কসমেটিকসের দামে লাগাম টানবে।

এসআই

Advertisement
Advertisement
Advertisement