Ekhon TV :: এখন টিভি

নরসিংদী বড় বাজারের পাশে হরিধোয়া নদীর ঘাট। এক শতাব্দী আগেও এখানে শত শত নৌকার ভিড় দেখা যেতো। যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে দিনভর ব্যস্ত ছিলেন মাঝি ও শ্রমিকরা।

এখন ঘাটে হাতে গোনা কয়েকটি নৌকা থাকলেও যাত্রী নেমেছে অর্ধেকে, কমেছে পণ্য পরিবহন। ফলে নৌকার মালিক-শ্রমিকদের আয় কমেছে। ইতোমধ্যে প্রায় দেড় হাজার নৌকার মালিক-শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এর জন্য তারা দায়ী করছেন নৌপথের অব্যবস্থাপনাকে।

শ্রমিকরা বলছেন, আগে নারায়ণগঞ্জ বা ভৈরব থেকে নদীপথে অনেক পণ্য আসতো। কিন্তু এখন উন্নত রাস্তার কারণে সরাসরি ট্রাকে করে পণ্য আনা হয়। এছাড়া প্রতিটি নৌকায় আগে ৩ থেকে ৪ জন কর্মচারী থাকতো, এখন যাত্রী কম থাকায় ১ জন থাকে।

নরসিংদীর অন্যতম নদী মেঘনায়ও নৌকা নেই। কিন্তু এই অঞ্চলের বাণিজ্য গড়ে উঠেছিল হরিধোয়া, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও শীতলক্ষ্যাকে ঘিরে। এখান থেকে বিভিন্ন পণ্য নৌকাযোগে কুষ্টিয়া, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব বাজার, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হতো।

নরসিংদী বাজার বণিক সমিতির তথ্য মতে, জেলার সর্ববৃহৎ বাজার এটি এবং পৌর এলাকায় ছোট-বড় প্রায় ১৫ হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠানের দৈনিক পরিবহন খরচ দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা।

ব্যবসায়ীরা মনে করেন, নৌপথটি আবার চালু করা হলে খরচ অন্তত ৫ শতাংশ কমানো সম্ভব। পাশাপাশি কর্ম ফিরে পাবেন বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকরা।

ভৈরব-আশুগঞ্জ নদীবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম জানান, নৌপথে যোগাযোগ সময়োপযোগী করতে ও নৌ সেবার উন্নয়নে আমাদের কাজ চলছে।

অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশে নদীপথের মোট দৈর্ঘ্য ২৪ হাজার কিলোমিটার। যার মধ্যে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটার নৌপথ নৌযান চলাচলের উপযোগী।

এসআই

Advertisement
Advertisement
Advertisement