
বাস টার্মিনালে বিমানবন্দরের মতো সুবিধা
গোলজার আহমেদ , এখন টিভি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:৫৪
দেশের প্রথম ডিজিটাল বাস টার্মিনাল-সিলেট কদমাতলী বাসস্ট্যান্ড। বিমানবন্দরের মতো প্রায় সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে ডিজিটাল এই টার্মিনাল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টার্মিনালটি সিলেট অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে যাত্রীসেবার মান বজায় রাখার ওপর জোর দেন যাত্রীরা।
সিলেট কদমাতলী বাসস্ট্যান্ডে বিমানবন্দরের মতোই আলাদা প্রবেশ ও প্রস্থান পথ রয়েছে। এছাড়া ওয়েটিং রুম, প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষ, ব্রেস্ট ফিডিং রুমসহ অনেক আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ একর জমির ওপর নির্মিত টার্মিনালটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে।
নান্দনিক শৈলীতে নির্মিত এই টার্মিনালটিতে যাত্রী চলাচলের জন্য আলাদা টার্মিনাল ভবন রয়েছে। পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা এবং পরিবহন সংস্থাগুলির জন্য সমস্ত সুবিধাসহ রয়েছে পৃথক ভবন।
এছাড়াও টার্মিনালে রেস্তোরাঁ ও ফুড কোর্ট, পর্যাপ্ত যাত্রী বিশ্রামাগার, ওয়াইফাই, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য পরিবহন সুবিধা পাওয়া যাবে। এই টার্মিনালে আধুনিক সেবার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
বাস টার্মিনালে এসব উন্নত সুবিধা দেখে সেবার মান বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
যাত্রীরা জানান, এই টার্মিনালের পরিবেশ খুবই সুন্দর। দেশের অন্যান্য টার্মিনাল থেকে খুব আলাদা। যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তায় রয়েছে পর্যাপ্ত শৃঙ্খলা। সেবার মান বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করছে তারা।
তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পর কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই যাত্রা শুরু করে এই টার্মিনালটি। এর ফলে একদিকে যেমন কমেছে যাত্রীদের ভোগান্তি, তেমনি অন্যদিকে বেড়েছে পরিবহন শ্রমিকদের নানান সুযোগ সুবিধা।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আলী আকবর জানান, সিটি করপোরেশনের এই টার্মিনালের আয়বর্ধক সব খাত ইজারা দেওয়া হবে। আর সেই আয় দিয়েই এই টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
টার্মিনালটিতে পরীক্ষামূলক অবস্থায় দিনে ২০০টি বাস সেবা দিচ্ছে। উদ্বোধনের পর ৫ শতাধিক বাস এটি ব্যবহার করতে পারবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এই টার্মিনালটি খুবই ব্যয়বহুল। ত্রুটি নির্ণয় বজায় রাখার জন্য টার্মিনাল পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাই সেই ত্রুটিগুলো নিয়ে কাজ করা হবে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলীতে টার্মিনালের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ২০২০ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারিতে কাজ পিছিয়ে যায়। পরে ২০২২-এর জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তারও ৬ মাস পর কাজ শেষ করে সিটি কর্পোরেশন। আগামী মাস দুয়েক সময়ের মধ্যে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে জানায় সিটি কর্পোরেশন।
এসআই