
গ্যাস সংকটে আশার আলো সিলেট গ্যাসফিল্ড
বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ ৯৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

নতুন করে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলার প্রক্রিয়া চলমান
১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:০৩
গোলজার আহমেদ , এখন টিভি
১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:০৩
রশিদপুর গ্যাসফিল্ড। যা প্রাকৃতিক গ্যাস এবং গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট উৎপাদনের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এর দৈনিক উৎপাদন প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আর ৩৮ ব্যারেল কনডেনসেট। গ্যাসক্ষেত্রের ১১টি কূপ থাকলেও বর্তমানে সচল ৫টি।
দেশের জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড। জাতীয় গ্রিডে বর্তমানে কোম্পানিটি প্রতিদিন প্রায় ৯৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবারাহ করে আসছে। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে দেশের চাহিদা পূরণে উৎপাদন বাড়ানোর নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে আরও অন্তত ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ হবে। এমনকি বছর দুয়েকের মধ্যে আরও ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
২০১০ সালের জরিপের তথ্য, এই গ্যাস ক্ষেত্রে মোট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ অন্তত ২ হাজার ৪৩২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যা থেকে বিগত ২৯ বছরে তোলা হয়েছে ৬১৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ঘনফুট আর এখনো ১ হাজার ৭৩৮ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উত্তোলন যোগ্য গ্যাসের প্রায় অর্ধেক যোগান দিয়ে থাকে হবিগঞ্জের এই গ্যাস ক্ষেত্রটি।
এসজিএফএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘রশিদপুর ৯ ইতোমধ্যেই খনন হয়ে আছে, সেটার কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। ঠিকাদারও নিয়োগ হয়ে গেছে। আশা করছি আগামী জুনের মধ্যে পাইপ লাইনের কাজ সম্পন্ন হবে। যেখান থেকে প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস আসবে।’
মজুত করা গ্যাসকে পুঁজি করেই নতুন করে উৎপাদন বাড়াতে নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড। রশিদপুরের ভার্টিক্যাল এই কূপটি ৪ বছর আগে খনন হয়। এই কূপটি বন্ধ থাকলেও চালু করার সব প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে, অপেক্ষা কেবল প্রসেসপ্লান্টে সংযোজনের।
রশিদপুরের বন্ধ থাকা ২ ও ৫ নম্বর কূপ দুটি ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে পুনরায় চালুর পরিকল্পনা করছে কোম্পানিটি। এ দুটির কাজ ২০২৩ সালের মধ্যেই সম্পন্ন করার পাশাপাশি আরো দুটি কূপের ওয়ার্কওভার শেষ করা গেলে সেখান থেকে প্রতিদিন অন্তত আরো ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সংযুক্ত করা যাবে জাতীয় গ্রিডে।
এর বাইরেও সম্প্রতি সিলেট গ্যাসফিল্ডের অধীনে আরো দুটি অনুসন্ধান কূপ খননের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারমধ্যে একটি রশিদপুর ১১ নম্বর কূপ। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৩৩ কোটি টাকার বেশি। ২০২৪ সালের মধ্যে এর খনন কাজ শেষ করে সিলেট ১৩ নম্বর অনুসন্ধান কূপের কাজ শুরু হবে বলে জানায় গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকাজ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারলে শুধু রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন অন্তত আরো ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিড সররবাহ করা সম্ভব হবে।
আকন