
বাসাবাড়ি হকার্স মার্কেটে সাধ্যের মধ্যে পুরাতন বিদেশি পোশাক
ফুটপাতসহ দোকানগুলোতে দৈনিক বিক্রি কোটি টাকা
ইমতিয়াজ আহমেদ , এখন টিভি
০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫৪
ময়মনসিংহের ট্রাঙ্কপট্টি রোড। ক্রেতার খোঁজে হাঁকডাকে সরগরম ফুটপাতের দোকানগুলো। হাঁড় কাঁপানো শীতে বেড়েছে গরম কাপড়ের কদর।
একটু ভেতরেই ঐতিহ্যবাহী বাসাবাড়ি হকার্স মার্কেট। সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণে যুৎসই জায়গা এটি। বিদেশ থেকে আসা পুরোনো পোশাকের চাহিদা এই মার্কেটে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের জন্য।
নান্দনিক ও ইউনিক ডিজাইনের পোশাকে আকৃষ্ট হন উচ্চবিত্তেরও কেউ কেউ। পুরোনো কাপড়ের পাশাপাশি কম টাকায় মেলে নতুন কাপড়ও। শীত-গরম সব ঋতুতেই চলে জমজমাট বেচাকেনা।
এক ব্যক্তি বলেন, গরীব মানুষও কিনতে পারে, আবার মধ্যবিত্তরাও এখান থেকে পোশাক কিনতে পারে।
আরেক ব্যক্তি বলেন, শো-রুমে অনেক দাম থাকে এই পণ্যগুলোর। সেই হিসেবে এখানে দামেও অনেক কম। আবার মধ্যবিত্তদের জন্যও সুবিধা।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ থেকে বিদেশি পুরোনো পোশাক আসে এখানে। প্রতিটি গাটে থাকে ইউরোপ, আমেরিকা, কোরিয়া, জাপান ও তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশের দাবি ব্রান্ডের পোশাক। নামমাত্র ব্যবহারের ফলে যেগুলো অনেকটাই ব্যবহার উপযোগী থাকে। ফলে চাহিদা তৈরি হয় বাজারে।
এক বিক্রেতা বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদেরও কেনা দাম বেশি। এই কারণে বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে।
আরেক বিক্রেতা বলেন, এই সোয়েটার, ট্রাউজার, জিন্সের দাম এইখানে হয়তো দুইশো টাকা। কিন্তু বাইরের মার্কেট থেকে কিনতে গেলে এইটার দাম হয়তো ৬-৭শ' টাকা পড়বে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বল্পমূল্যে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো জিনিস পাওয়া যায় বলে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছে বাসাবাড়ি হকার্স মার্কেট। এ কারণে শীত-গরম সব সময় পছন্দের পোশাক কিনতে ক্রেতারা ছুটে আসেন এখানে।
বাসাবাড়ি হকার্স মার্কেট সমিতির সহ সভাপতি মো. দিদার আলম বলেন, 'উচ্চবিত্ত, নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত- সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই এখানে সব পণ্য পাওয়া যায়। এইখানে এখানে গ্রাহক বেশি।'
এই হকার্স মার্কেটের ভেতর-বাইরে অন্তত সাড়ে ৩শ' দোকান রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন বেচাকেনা হয় প্রায় কোটি টাকার কাপড়।
আরএন