
খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ে গণশুনানি
আরিফ হোসেন , এখন টিভি
০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:১৯
পাইকারিতে দাম বাড়ানোর পর এবার বিতরণ কোম্পানিগুলোর গ্রাহক পর্যায়ের দাম সমন্বয়ে চলছে গণশুনানি। এতে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সাড়ে ২৭ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ডিপিডিসিসহ বিতরণ কোম্পানিগুলো।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আবেদনের যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতা প্রমাণের দায়িত্ব আবেদনকারীর বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।
গত বছরের ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৫.১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬.২০ পয়সা নির্ধারণ করেছিলো বিইআরসি। পাইকারিতে দাম বাড়ানোর পর বিতরণ কোম্পানিগুলো দাম সমন্বয়ের আবেদন করে বিইআরসি’র কাছে।
এরই প্রেক্ষিতে রোববার রাজধানীর বিয়াম ভবনে গণশুনানির আয়োজন করা হয়। শুরুতেই ঢাকার অন্যতম একটি বড় বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি প্রস্তাব দেয় ইউনিট প্রতি ২৭.৪৮ শতাংশ দাম বাড়ানোর।
বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, পাইকারিতে দাম বাড়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় বেড়েছে। এজন্য ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে ডেসকো’র প্রস্তাবনায় চলতি অর্থবছরে ৯৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি দেখানো হয়েছে। আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়াবে দেড় হাজার কোটি টাকায়। আর ডিপিডিসি’র দাবি, তাদের রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়াবে ১ হাজার ১০৯ কোটি টাকায়।
ক্যাবের উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরও পরিকল্পনা করা দরকার। এমনকি প্রকল্পে অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে অবাস্তব চাহিদা তৈরি করে তা প্রস্তাবনায় দেখানো অযৌক্তিক। এই চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মূল্য বাড়ানোও ঠিক নয়।
গণশুনানির শুরুতে বিইআরসি জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় আদেশ দেবে বলে মন্তব্য করেন বিইআরসি’র চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।
এএইচ