
বাণিজ্যমেলায় বৈচিত্র্যময় পাটপণ্যের সমাহার
তন্ময় কুমার রায় , এখন টিভি
০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৪২
বাণিজ্যমেলায় জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের প্যাভিলিয়নের ২০টি স্টলে রয়েছে পাট ও পাটপণ্যের বৈচিত্র্যময় সমাহার। উদ্যোক্তারা বলছেন, বিক্রি বাড়ানোর পাশাপাশি নিজেদের পণ্যের পরিচিতি বাড়ানোই মেলায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য। পাশাপাশি বিদেশি ক্রয়াদেশও পাওয়ার আশা তাদের।
এই প্যাভিলিয়নের সব পণ্যই দেশীয় উপকরণে বানানো। যেমন- কলমদানি, হ্যান্ডব্যাগ, গহনার বাক্স, টিস্যুবক্স, জুতা, কানের দুল, চুরি কিংবা ঘর সাজানোর নানান সরঞ্জাম, আর এসবই পাটের তৈরি।
মেলায় জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছে মিনি প্যাভিলিয়ন। যেখানে স্টল রয়েছে ২০টি। আর অংশ নেয়া সবাই দেশীয় উদ্যোক্তা।
আসমা আক্তারও তাদেরই একজন। শুরুটা শখের বসে হলেও এখন পুরোদমে দেশীয় পণ্যের ব্যবসা করছেন তিনি। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পণ্য সরবরাহের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছেন পাটজাত পণ্য। আর সব খরচ বাদে তাঁর মাসিক আয় তিন থেকে চার লাখ টাকা।
আসমা আক্তার বলেন, আমার এখানে ২০ জন কাজ করেন। আমরা চাই, আমাদের দেশীয় পণ্য দেশের বাইরে জনপ্রিয় হয়ে উঠুক। তাহলে আমরা আরও লাভবান হতে পারবো।
শুধু আসমাই নয়, এ রকম আরও অনেকে মেলায় এসেছেন দেশীয় বিভিন্ন পণ্য নিয়ে। তাঁরা বলছেন, দেশীয় শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দূষণের হাত থেকে পরিবেশ রক্ষা করা।
এসব স্টলে দেশ-বিদেশের ক্রেতার আনাগোনা বেশি। বিক্রেতাদের সুরে তাল মিলিয়েছেন ক্রেতারাও।
এক ক্রেতা বলেন, মেলা ঘুরে আমি বেশ কয়েকটি দেশীয় পণ্য কিনেছি। এগুলো আমাকে আকৃষ্ট করছে। কেননা এই পণ্যগুলো পরিবেশবান্ধব।
এদিকে দেশের পরিবেশবান্ধব পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে দিতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তারা বলছেন, দেশের উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যে আগ্রহ আছে বিদেশি ক্রেতাদের।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক ফাহিম বিন আসমাত বলেন, যে উদ্যোক্তারা এখানে পণ্য নিয়ে আসছেন তাদের সঙ্গে বায়ারদের নেটওর্য়াক তৈরিতে আমরা কাজ করছি। এছাড়া এই মেলার মাধ্যমে অনেক উদ্যোক্তা অর্ডারও পেয়েছেন।
এএইচ