
কবি নজরুলের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী আজ
বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন কবি নজরুল
সাজিদ আরাফাত , এখন টিভি
২৫ মে ২০২৩, ০৯:১৮
প্রেম-প্রকৃতি আর দ্রোহকে তিনি গেঁথেছেন এক সূতোয়। যার এক হাতে বিষের বাঁশি, আর অন্য হাতে রণতূর্য। কণ্ঠে শেকল ভাঙার গান। ছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, গেয়েছিলেন সাম্যের গান। তিনি বাংলা সাহিত্যের অ-বিভাজ্য সত্তা কাজী নজরুল ইসলাম।
মনে-প্রাণে করেছেন সাম্যের বন্দনা। সাহিত্যচর্চার মধ্যদিয়ে জয়গান গেয়েছেন শ্রমজীবী, কৃষক থেকে শুরু করে নিম্নবর্গের মানুষের। খেটে খাওয়া শ্রমিক, কৃষক ও মজুরের রাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান বরাবরই ছিল তার। তাই তো লিখেছিলেন,
ও ভাই আমরা ছিলাম পরম সুখী , ছিলাম দেশের প্রাণ
তখন গলায় গলায় গান ছিল ভাই , গোলায় গোলায় ধান
আজ কোথায় সে গান গেলো, কোথায় সে কৃষাণ?
ওঠরে চাষী জগদবাসী ধর কষে লাঙল।
বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতির প্রধান রূপকার কাজী নজরুল। সামাজিক ও রাজনৈতিক নবজাগরণের বার্তাবাহকও বলা চলে তাঁকে। বহুমাত্রিক বর্ণাঢ্য রচনা তাঁকে জাতীয় কবির ঊর্ধ্বে পরিচিতি দিয়েছে সকল কালের, সকল মানুষের কবি হিসেবে।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর দে বলেন, 'তিনি প্রেমে যেমন সমতা খুঁজেছেন, বিদ্রোহতেও ঠিক তেমনি। সম্প্রীতির কথা কাজী নজরুল ইসলাম যেভাবে সাহিত্যে বলেছেন তা আর কারো মধ্যে পাওয়া যায় না।'
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, মানুষের সাথে মানুষের ভেদাভেদ দূর করতে চেয়েছিলেন কবি। চেয়েছেন শ্রমজীবি, কৃষকদের একদিন উত্থান ঘটবে। তারা নিয়ন্ত্রণ করবে রাষ্ট্রক্ষমতা। সকলের সম্মিলিত সাধনা দিয়ে তিনি একটি দেশের কল্পনা করেছেন।
রাষ্ট্র বা সমাজজীবনের জন্য নজরুলের অহং, জাতীয়বাদের চেতনার প্রতিচ্ছবি যেন আজও পাথেয়। তিনি শুধু কবি নন, তিনি ছিলেন সমাজ পরিবর্তনের রূপকারও।
আরএন