
আশকোনা হজ ক্যাম্পে মশার উপদ্রব
নাঈম আবির , এখন টিভি
২৩ মে ২০২৩, ১৬:২৬
৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশকোনা হজ ক্যাম্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগের আশঙ্কা করছেন হজযাত্রীরা।
হজ অফিস বলছে, আশপাশের জলাশয়ের কারণে মশা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
আশকোনা হজ ক্যাম্পে কাবামুখী মানুষের ভিড়। প্রতি হজ মৌসুমেই শিবিরের এই চিত্র পরিচিত। ঢাকা থেকে আসা হজযাত্রীদের তাদের ফ্লাইটের ৭ ঘণ্টা আগে এবং ঢাকার বাইরের হজযাত্রীদের অন্তত তিন দিন আগে হজ ক্যাম্পে আসতে বলা হয়।
চলতি বছর হজযাত্রীদের জন্য সুবিধা বাড়িয়েছে হজ ক্যাম্প। নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ১০ টি ডরমিটরি, বাড়ানো হয়েছে লিফট ও এসির সংখ্যা।
হজযাত্রী পরিবহনকারী তিনটি এয়ারলাইনসের জন্য করা হয়েছে আলাদা তিনটি কাউন্টার। যেখানে নির্বিঘ্নেই হচ্ছে চেকইন ও বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন। সহজ হয়েছে হজযাত্রা।
হজ যাত্রীরা জানান, সরকারি হজ যাত্রীদের জন্য থাকার ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। এখানে পর্যাপ্ত সকল সুবিধা ভালো ভাবে পাচ্ছে তারা। এবং পর্যাপ্ত পরিষ্কার পরিচ্ছনতা রয়েছে।
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও কাজ করছে হজযাত্রীর সেবায়।
হজ ক্যাম্পে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, তারা হজ ক্যাম্পের হজযাত্রীদের তথ্য দিয়ে থাকেন। এছাড়াও হজযাত্রীরা ক্যাম্পে আসার সময় তাদের কী করতে হবে সে সম্পর্কে সমস্ত বিষয় তাদের অবহিত করে।
তবে এতো সুবিধার মধ্যেও বড় আতংকের নাম মশা। সন্ধ্যার পরই বাড়তে থাকে মশা।
তবে হজ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হজ ক্যাম্পের চারপাশে জলাবদ্ধতার কারণে মশা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করছে।
হজ ক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে মশা নিধন কঠিন। কারণ এর চারপাশে বিস্তীর্ণ ফাঁকা জায়গা। এই ফাঁকা জায়গার পুরো পরিসর নিয়ে কাজ করা গেলে নিধন করা সম্ভব হবে। সিটি করপোরেশন এ ব্যাপারে কাজ করছে।
হজযাত্রীদের সেবার জন্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে হজ ক্যাম্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। যার ফলাফল হাতের মুঠোয় মিলেছে। কিন্তু মশার উৎপাত পূণ্যার্থীদের ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগের আতঙ্কে ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি হজযাত্রীদের।
এসআই